সুফিয়ানের জামাইকে সমর্থন করে প্রধান বানাল বিজেপি! শুভেন্দুর মাস্টারস্ট্রোক? তুঙ্গে জল্পনা নন্দীগ্রামে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের (Nandigram) সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। শুধু নন্দীগ্রামে নয়, গোটা বাংলাতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শেষের পর দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সেই আবহে আবার নতুন সংযোজন হয় শেখ সুফিয়ান এবং বিজেপির বৈঠক।

বিদ্রোহী সুফিয়ান : জমি আন্দোলনের নেতা হিসাবে উঠে আসা এবং পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ–সভাধিপতি হওয়া। এবার সেই শেখ সুফিয়ানকে টিকিটই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে বিস্তর শোরগোল হয়। রাতে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করতে হয় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে।

তারপর শান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন সুফিয়ান বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। জল্পনা তৈরি হয় সুফিয়ান বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে তা বাস্তবে সত্যি হয়নি। এরপর আজ যা ঘটল তাতে সকলের চক্ষু চড়কগাছ।

suvendu

কী এমন ঘটল? নন্দীগ্রামে এবার বিজেপির সমর্থনে বোর্ড গড়ল তৃণমূল (TMC)। প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হলেন কে জানেন? তৃণমূল নেতা খোদ শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল-বিজেপির (BJP) এই ‘আঁতাত’ নিয়ে সরব অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। যদিও হাতে হাত ধরা দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য, এভাবে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই।

বিজেপির সাহায্য নিয়ে এভাবে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করার মধ্যে আদৌ বিতর্ক নেই কিছু, এমনই দাবি নির্বাচিত প্রধান শেখ হাবিবুলের। তিনি বলেন, ‘আমি সকলের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কে ভোট দিল, কোন দলের সমর্থক আমাকে ভোট দিল, সেটা বড় কথা নয়। ভোটের ফল ১২-৬। আমি প্রধান নির্বাচিত হয়েছি।’ বিজেপির তরফে সুযোগ্য মাইতি জানান, ‘আমাদের সমর্থনেই উনি প্রধান হয়েছেন।’

বিজেপি বা তৃণমূল শিবির যাই বলুক না কেন প্রকাশ্যে আসছে কিন্তু এক গোপন যোগসাজশ। এই পুরো কান্ডের পিছনে কি রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী? একাধিক মহল কিন্তু এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী ও বিদ্রোহী শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে নন্দীগ্রামে আদতে তৃণমূল – বিজেপি হাতেহাত মিলিয়েই কাজ করছে। তবে সত্যিটা যে কী তা হয়ত বুঝতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর