বাংলাহান্ট ডেস্ক : সৈকত শহরের গেরুয়া শিবিরে ভাঙন। এবার দল ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পার্রীকরের ছেলে উৎপল পারিকরও। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। সেই ক্ষোভেই দলত্যাগ করেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন উৎপল এমনটাই খবর সূত্র মারফত।
গোয়ার রাজনীতিতে প্রয়াত নেতা মনোহর পার্রীকরের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহরের আমলেই পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে জঙ্গিদের ঘাঁটি উড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। প্রথম জীবনে আরএসএস করেন এবং পরে বিজেপিতে যোগ দেন মনোহর পার্রীকর। এবার সেই বিজেপি ছাড়লেন তাঁর ছেলে উৎপল। পানাজি থেকে টিকিট না পাওয়ায় অভিমানেই দল ছেড়েছেন তিনি। বিজেপি পানাজিতে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়ায় এবার সেই কেন্দ্রেই নির্দল হয়ে লড়বেন উৎপল পার্রীকর।
দোরগোড়ায় গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগেই প্রবল বিশৃঙ্খলা রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে। বৃহস্পতিবার গোয়ায় ৪০ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এর মধ্যেই টিকিট না পেয়ে দল ছেড়েছেন বিজেপির একাধিক নেতানেত্রী। গোয়ার প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী দীপক পাউসকার এবার নির্দল হয়েই নামছেন ভোটযুদ্ধের ময়দানে। উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের স্ত্রী সাবিত্রী কাভলেকরও পাননি টিকিট। তাই বিজেপির মহিলা শাখার সভানেত্রী পদ ছেড়ে এবার নির্দল হয়েই লড়ছেন তিনি। টিকিট না পাওয়ায় দল ছেড়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ইসিডোর ফার্নান্ডেজ। অন্যদিকে বিজেপি ছাড়ার পথেই এগোচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষীকান্ত পার্সেকারও। এহেন পরিস্থিতিতে এবার দলত্যাগী নেতাদের তালিকায় যুক্ত হল উৎপল পার্রীকরের নামও।
টিকিট না পেয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বহু নেতা-নেত্রীর মধ্যেই। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য টিকিট চেয়েছিলেন বিধায়ক- সাংসদ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খোদ রাজনাথ সিংও। কিন্তু স্বজণপোষণ চলবে না একথা সাফ জানিয়েছিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বিধান নির্বাচনের আগে গোয়ায় শক্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেশের বিরোধী দলগুলির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ হিসেবে উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। এহেন অবস্থায় একের পর এক তাবড় নেতাদের দলত্যাগে কার্যতই যে চাপের মুখে গেরুয়া শিবির, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।