বাংলা হান্ট ডেস্ক: মনে করুন, আপনি একটি গাড়ি বিক্রি করার পর সেই গাড়ি থেকেই আপনার কাছে এসে উপস্থিত হয়েছে ৬৩ টি চালান! তখন, আপনার অবস্থা ঠিক কেমন হবে? হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এবার ঠিক এইরকমই এক ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আন্তর্জাতিক গলফার চিরঞ্জীব মিলখা সিংয়ের (Jeev Milkha Singh) সাথে। পাশাপাশি, তাঁর অন্য আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে। তিনি স্বর্ণপদক বিজয়ী স্প্রিন্টার মিলখা সিংয়ের (Milkha Singh) ছেলে। জানা গিয়েছে, চিরঞ্জীব এবার ২০১৪ সালে বিক্রি করা একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি থেকে মোট ৬৩ টি চালানের নোটিশ পেয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই গলফার গাড়ি ডিলার এবং ক্রেতার বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি আদালতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, ১৭ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এখনও পর্যন্ত তিনি ৬৩ টি চালানের মাধ্যমে মোট ৮৩ হাজার টাকা (Indian Rupees) পরিশোধের জন্য নোটিশ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই গাড়িটি ২০১৪ সালে র্যালি মোটরসের কার ডিলার তেজিন্দর সিং, হৌজ খাসের ভাইবস হেলথকেয়ার লিমিটেডের ডাইরেক্টর নিতিন জৈনের কাছে ৩৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। এমতাবস্থায়, ভারতীয় গলফারের আইনজীবী টারমিন্ডার সিং-এর মতে, মার্সিডিজটি বিক্রি এবং কেনার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সম্পন্ন করা হয়েছিল এবং নিতিন জৈনের কাছ থেকে একটি হলফনামাও চিরঞ্জীবকে দেওয়া হয়েছিল।
তবে, গাড়িটি কেনা সত্ত্বেও নতুন মালিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হস্তান্তর করেননি। এমতাবস্থায়, গাড়িটি ১০ বছরের পুরোনো ডিজেল ভেরিয়েন্টের কারণে, এটি নতুন দিল্লিতে আর রেজিস্টার্ড হতে পারেনি। তাই, চিরঞ্জীব ক্রমাগত চালানের নোটিশ পেতে থাকেন। এদিকে, আদালত আবেদনকারীর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ১২০ B ধারার অধীনে এফআইআর দায়েরের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। যার পরবর্তী শুনানি ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জীব জানিয়েছেন যে, তিনি চণ্ডীগড়ের আরএলএ (রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্সিং অথরিটি)-কে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছেন। তিনি বলেন, গাড়ি ক্রেতা তাঁর নিজের নামে যাতে কোনো অপরাধ প্রমাণিত না হয় সেজন্য গাড়িটি ট্রান্সফার করতে চাননি। জানিয়ে রাখি যে, গত কয়েক বছরে ভারতে ব্যবহৃত গাড়ির প্রবণতা অনেক বেড়েছে। এমতাবস্থায়, ব্যবহৃত যানবাহন বিক্রির সময়ে মালিকানা হস্তান্তরের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া উচিত।