বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona)হাহাকার দেশজুড়ে। স্বজন হারানোর কান্না। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন শয়ে শয়ে নিরাপরাধ মানুষ। হাসপাতালের বেডে বা বাইরে তিলে তিলে স্তব্ধ হচ্ছে এক একটি প্রাণ। শ্বশানে নীরবতার জো নেই, জ্বলছে একের পর এক আগুন। কোভিডে মৃতের দেহ জমে জমে তো দেশের একাধিক জায়গায় স্তুপও তৈরি হচ্ছে।
গোটা দেশে এমন সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে উঠে আসছে একেরপর এক মর্মান্তিক দৃশ্য। ঠিক তেমনই এক চিত্র উঠে এল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) রাস্তা থেকে। সেখানে এক মৃতার দেহ সৎকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেলেনি শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স। তাই বাধ্য হয়ে মায়ের মৃতদেহ বাইকে করেই শ্বশানে নিয়ে গেল ছেলে। যা থেকে অনুমান করা যায় করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা বিপর্যস্ত।
জানা যাচ্ছে, ওই মৃতা অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার বাসিন্দা। বয়স ৫০। সম্প্রতি তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তার জন্য করা হয়েছিল করোনা পরীক্ষাও। তবে রিপোর্ট আসতে আসতে শারীরিক অবস্থার তিলে তিলে অবনতি হতে থাকে। অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়াতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হল না তাঁর।
এরপরই বাঁধ সাধল শ্মশানে নিয়ে যাওয়া নিয়ে। মিলছে না শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও টাই। উপায় না পেয়ে মৃতদেহ বাইকে করে শ্মশানে নিয়ে যায় ছেলে ও জামাই। ছেলের পিঠের উপর পড়ে মায়ের নিথর দেহ, আর পিছন থেকে সামলাচ্ছেন জামাই। ছবিটি দেখার পর আর দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শব্দ-বাক্যে বহিঃপ্রকাশের প্রয়োজন নেই।