বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাস (COVID-19) চীন ছাড়িয়ে বিশ্বের প্রায় সমগ্র দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা আতঙ্ক। ভারতে (India) এখনও অবধি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সম্ভাব্য ১১৫ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। সুস্থ ব্যক্তিরা যাতে পুরোপুরি সুস্থ থাকতে পারে তাঁর জন্য সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের খাবারও প্রভাবিত হচ্ছে। তবে এখন সবথেকে বেশি প্রাভবিত হচ্ছে যৌনপল্লী। যেখানে দিনে লাখ লাখ লোক তাঁদের শারীরিক চাহিদা মেটানোর দাবীতে যৌন কর্মে লিপ্ত হয়।
মারণরোগ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সোনাগাছিতে কমেছে কাস্টোমারের আনাগোনা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় করোনা আক্রান্তে ভিত হয়ে কম পরিমাণে লোকজন নিষিদ্ধ পল্লীতে পা রাখছেন। যার ফলে কাজের অভাবে যৌনকর্মীরা পড়ছেন বিপদে। সোনাগাছিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ লোক আসেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কে করোনা রোগে আক্রান্ত, আর কে সুস্থ তা বোঝা দায়। সেই কারণেই এখন নিষিদ্ধ পল্লীতে মানুষের যাতায়াত কমে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্বার মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ডঃ স্মরজিৎ জানা বলেন, ‘প্রথমত আমার মনে হয় এতে অযথা আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। রোগের থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাই সোনাগাছির যৌনকর্মীরাও ভয় পাচ্ছেন। যৌনপল্লীতে যারা কর্মরত, তারা সমাজের মধ্যে থেকেও সমাজ তাঁদের অনেকটা দূরে সরিয়ে রেখেছে। সেই কারণে তারা আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে কারও জ্বর, সর্দি হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসতে। আর যদি গুরুতর সমস্যা হয়, তাহলে তাঁকে শহরের আইসোলেসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব আমরা’।
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার আগে কাস্টমারের সর্দি কাশি আছে কি না সেটা ভালো করে দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে কাস্টমার কম নিলে ভালো হয়। এবং যৌনকর্মের পর যেন ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া হয়। স্যানিটাইজার যেহেতু বাজারে নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে আমরা ভালো সাবান দিচ্ছি। ভালো সাবান এবং ডেটল ব্যবহার করার কথাও বলছি।’