বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভালোবাসার মানুষের সামনেই নিজের মনের কথা ফোন মারফত মাকে জানান যুবক। কিন্তু তা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি উল্টোদিকে থাকা ওই যুবকের ভালোবাসার মানুষটি। তৎক্ষণাৎ যুবকের থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেন। আর ফোন ধরতে গিয়ে যুবকও ঝাঁপ দেন নীচে। ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার নীলমণি মিত্র স্ট্রিটে। সোনাগাছির (Sonagachi) নীলমণি মিত্র স্ট্রিটের এক যৌনকর্মীর বাড়িতে অহরহ যাতায়াত ছিল এক যুবকের। আর কিছুদিন তাঁর সঙ্গে রাত কাটানোর পর, ওই যৌনকর্মীকে ভালোবেসে ফেলেন ওই যুবক।
কিন্তু একজন যৌনকর্মী হওয়ার কারণে কারো স্ত্রী হতে আপত্তি জানায় ওই যুবতী। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত সেখানেই থেকে মদ্যপান করে রাত কাটান যুবক। তারপর সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই মাকে ফোন করে মনের মানুষের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় সে। আর এই বিষয়টাই না মানতে পেরে যুবকের ফোন দোতলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেন ওই যুবতী। আর নিজের ফোন সামলাতে সেখান থেকেই ঝাঁপ দেন ওই যুবক।
এই ঘটনার বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অ্যাসবেসটসের ছাদ গর্ত করে নিচে পড়ার কারণে প্রাণে বেঁচে গেলেও কোমর এবং হাতে পায়ে গুরুতর আঘাত পায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। প্রথমে তাঁকে এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হলেও, পরবর্তীতে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।
ঘটনাস্থলের পাশের বাড়িতেই পরিবার নিয়ে বসবাসকারী নিতাই রায় নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ঘটনার দিন সকাল ১০ টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ এক বিকট আওয়াজ শুনতে পান তিনি। আর বাইরে আসতেই দেখতে পান, অ্যাসবেসটসের ছাদ ভেঙে নিচে পড়ে রয়েছেন এক যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।