বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের (jharkhand) সিধু কানহু বিশ্ববিদ্যালয়ের (sidhu kanhu University) উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন জেএনইউ-এর অধ্যাপক সোনাঝরিয়া মিনজ (sonajharia minz)। স্বাধীন ভারতের প্রথম আদিবাসী গোষ্ঠীর মহিলা হিসাবে এই ইতিহাস রচনা করলেন তিনি।
ভারতে যখন আর্যদের আগমন হয় তখন ভারতের আদিম অধিবাসীরা প্রান্তিক মানুষ হয়ে পড়েন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে, কিন্তু আদিবাসীদের শোষনের চিত্রটা বদলায়নি দেশে। আজও আমাদের দেশের বহু অঞ্চলে হরিজনরা সংবিধান লিখিত ‘মৌলিক অধিকার’ থেকে বঞ্চিত। সেই আদিবাসী গোষ্ঠী থেকেই উঠে এসেছেন সোনাঝরিয়া।
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু নিজেও একজন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি। তিনিই সোনাঝরিয়াকে নিয়োগ করেন উপাচার্য পদে। সোনাঝরিয়া জেএনইউ-এর অধ্যাপক ছিলেন। তার স্কুল জীবন কেটেছে রাঁচিতে। সেখানে শিক্ষকরাই বার বার তাকে বলেছেন, আদিবাসী হওয়ার কারনে মিনজের দ্বারা কিছুই হবে না। সেই থেকেই জেদ চেপে যায় তার মধ্যে।
তার জেদ প্রতিফলিত হয় রেজাল্টে। চেন্নাই চলে যান তিনি। সেখানকার মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজে স্নাতক পর্ব শেষ করেন। তার পরে গণিতে এমএসসি করেন সেখানেই। এর পরে এমফিল ও পিএইচডি করেন নয়াদিল্লির জেএনইউ থেকে, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। এরই মধ্যে তিনি অনর্গল ইংরেজি বলতে শিখে নিয়েছেন, এক সময় যার জন্য তিনি বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ঝাড়খণ্ড পৌঁছন অধ্যাপক মিনজ। দায়িত্ব নেন উপাচার্য হিসেবে। একই সাথে তিনি আরো একবার প্রমান করে যান, ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাত বা ভাষা কিছুই মানুষের চরম ইচ্ছেশক্তিকে পরাজিত করতে পারে না।