বাংলাহান্ট ডেস্ক: নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ হকারদের নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই অবৈধ হকার উচ্ছেদে নেমে পড়েছে প্রশাসন। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি বোলপুরও। হকার উচ্ছেদের আবহে বনদপ্তরের তরফে নোটিশ দেওয়া হল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটের (Sonajhuri Haat) ছ’টি বাড়ি ও দু’টি রিসর্টকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ওই বাড়ি ও রিসর্টের মালিকদের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
সোনাঝুরি হাট (Sonajhuri Haat) তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত
বলা হয়েছে যদি পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত প্রমাণ ও নথি না থাকে তাহলে বড় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে। বনদফতরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মণ জানিয়েছেন, নোটিশ পাঠানো হতে পারে সোনাঝুরির হাট (Sonajhuri Haat) কর্তৃপক্ষকেও। এমনকি জ্যোতিষ বর্মণ সোনাঝুরির হাট তুলে দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। সোনাঝুরি হাট যেখানে বসে সেই জায়গাটি বনদপ্তরের।
আরোও পড়ুন : এত্ত লম্বা! কোচের সংখ্যা ২৫৬, ইঞ্জিনই আছে ৬টি! জেনে রাখুন দেশের দীর্ঘতম ট্রেনটির কথা
হকাররা (Hawker) বলছেন যদি এই হাট তুলে দেওয়া হয় তাহলে তাদের আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হাট কর্তৃপক্ষের তরফে তন্ময় মিত্র জানিয়েছেন, “আমরা নোটিস যদিও পাইনি। কয়েকটি হোটেল ও রিসর্টকে দিয়েছে। নথি দিতে বলা হয়েছে। আমাদের কাছে যদি নোটিস আসে বলব পুনর্বাসন যাতে দেওয়া হয়।” বোলপুর পৌরসভার পক্ষ থেকেও সোনাঝুরি শান্তিনিকেতন এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি এবং রিসর্টকেও পাঠানো হয়েছে নোটিস।
আরোও পড়ুন : Optical illusion: ১ মিনিটেই বোঝা যাবে আপনি কতটা চালাক! এই একটি ছবিতেই হবে আসল পরীক্ষা
যে বাড়ি ও রিসর্টগুলিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাদের মালিকরা জানাচ্ছেন, “আইন আইনের কাজ করবে। যদি জমি বনদফতরের হয় তাহলে আমরা ছেড়ে দেব।” বনদপ্তরের (Forest Department) আধিকারিক জ্যোতিষ বর্মণ জানিয়েছেন, নোটিশ যাদের পাঠানো হয়েছিল তারা কাগজপত্র জমা দিয়ে গেছেন। সেই কাগজপত্র বৈধ না অবৈধ তা আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।
জ্যোতিষ বাবু জানিয়েছেন, “আমরা সার্ভে করেছি। দেখতে পেয়েছি কয়েকটি রিসর্ট ও বাড়ি আমাদের জমির মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে বাড়ির মালিক ও রিসর্টের মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাদের সাপেক্ষে যদি নোটিস থাকে সেগুলি আমরা চেক করব। তবে হাট নিয়ে এখনও নির্দেশ আসেনি। অনেকদিন ধরে হাট বসছে। তবে ভার্চুয়ালি জানানো হয়েছে সরে যেতে। অর্ডার এলে নোটিস আসবে।”