বাংলাহান্ট ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন (farmers protest) নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হতেই একের পর এক বলিউড তথা ক্রিকেট তারকা মুখ খুলতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে। ‘ভারত বিরোধী প্রোপাগান্ডা’য় দেশবাসীকে কান না দিয়ে সকলকে একজোট হয়ে সমাধান খোঁজার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে ব্যতিক্রমও আছে। কৃষক আন্দোলনের সপক্ষে সরব হতে দেখা গিয়েছে রিচা চাড্ডা, স্বরা ভাস্কর, তাপসী পান্নুকে। রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের সুরে সুর মিলিয়েছেন তাঁরা। সেই তালিকায় এবার যোগ দিলেন সোনাক্ষী সিনহাও (sonakshi sinha)। কৃষক আন্দোলনের সপক্ষে মুখ খুললেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী লেখেন, ‘সাংবাদিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশ ও মিডিয়ার প্রোপাগান্ডায় আন্দোলনকারীরা নিন্দিত হচ্ছে। ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে (দেশ কে গদ্দারোকো গোলি মারো সর্দারোকো)। এই ইস্যুটাই আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল ফেলেছে।’
তিনি আরো লেখেন, ‘খবরে এখন প্রচার করা হবে বাইরের শক্তিরা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাইছে। তাতে বিশ্বাস করবেন না। এটা শুধু মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’ সোনাক্ষীর এই মন্তব্যে টুইটারে প্রশংসাও পান তিনি। অনেকেই সমর্থন করে তাঁকে।
অপরদিকে ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন গায়িকা রিহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খলিফারা। ভারত সরকারের সমালোচনা করে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনই করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুতে মুখ খোলেন অক্ষয় করণরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের হয়েই এর আগে কথা বলতে দেখা গিয়েছে অক্ষয় কুমারকে। এবারেও তার অন্যথা হল না। টুইটে খিলাড়ি কুমার লেখেন, ‘আমাদের দেশের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল কৃষকেরা। তাদের সমস্যা সমাধানে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে স্পষ্ট। বিভেদ সৃষ্টিকারী মানুষদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার থেকে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের কথা ভাবা যাক।’
টুইট করেছেন করণ জোহরও তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কঠিন সময়ে বাস করছি। এই সময় প্রতি মোড়ে চাই বিচক্ষণতা ও ধৈর্য। আমরা সকলে মিলে সবার জন্য সমাধান খুঁজে বার করার চেষ্টা করি। আমাদেল কৃষকেরা আমাদের মেরুদণ্ড। কাউকে আমাদের মধ্যে বিভেদ করতে দেবেন না।’
কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সুর তুলতে দেখা গিয়েছে অজয় দেবগণ ও সুনীল শেট্টিকেও। ভারতের বিরোধী ‘প্রোপাগান্ডা’কে বিশ্বাস না করার আবেদন জানিয়েছেন অজয় দেবগণ। অপরদিকে সুনীল শেট্টি লিখেছেন, যেকোনো বিষয় নিয়েই বিশ্লেষিত ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন। কারণ অর্ধসত্যর থেকে ভয়ঙ্কর আর কিছুই নেই।