বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলার রাজনীতিতে আবারো বিনোদনের ছোঁয়া। আসন্ন উপনির্বাচনে আসানসোল ও বালিগঞ্জ দুই আসনেই তারকা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ফাঁকা আসনের জন্য লড়বেন বিজেপি ত্যাগী গায়ক বাবুল সুপ্রিয় আর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে (Shatrughan Sinha)।
বলিউডের এক সময়ের সুপারস্টারের বাংলা রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে বিভিন্ন মহলে শোরগোল শুরু হয়েছে। তৃণমূলে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি যোগদান করেননি ঠিকই, তবে আসানসোলের আসন জেতার জন্য যে স্টারডমের ব্যবহার অভিনেতা করবেন তা স্পষ্ট। কারণ ইতিমধ্যেই শত্রুঘ্ন ঘোষনা করেছেন, মেয়ে অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহাও (Sonakshi Sinha) আসবেন তাঁর হয়ে প্রচারে।
শত্রুঘ্ন অনেক দিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মেয়ে কিন্তু এই জগৎটার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছিলেন। কিন্তু এবারেই দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম। বাবার হয়ে প্রচার করতে খুব শীঘ্রই আসানসোলে পা রাখবেন সোনাক্ষী। আর ‘দাবাং গার্ল’কে স্বাগত জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই সেজে উঠতে শুরু করেছে আসানসোল।
দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রচার। বাবা ও মেয়ের ছবি পাশাপাশি রেখে কোলাজ বানিয়ে প্রচার করছে তৃণমূলের যুব সংগঠন। এখন শুধু সোনাক্ষীর আসার দিনটা ঘোষনা হওয়ার পালা।
দীর্ঘদিন গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদও। বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিগড়ায় ২০১৯ সালে। সেবারে নির্বাচনে দলের হয়ে ভোটে লড়ার সুযোগ পাননি শত্রুঘ্ন। তখনি বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে।
তবে ঘাসফুল শিবিরের প্রতি তাঁর প্রত্যক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন সমর্থন আগেও দেখা গিয়েছে। যে বছরে তিনি বিজেপি ছাড়েন সে বছরেই তৃণমূলের মহা ব্রিগেডে নজর কেড়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে সাক্ষাৎও করেছেন তিনি।
এদিকে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করায় তৃণমূলেরই ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। যদিও শত্রুঘ্ন সিনহার দাবি, তিনি যেহেতু অভিনেতা তাই তিনি ‘অল ইন্ডিয়া ফিগার’। গোটা দেশের মানুষ তাঁকে চেনে। বাংলা, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ সব রাজ্যের মানুষই তাঁকে এই খ্যাতি এনে দিয়েছে। তাই বিহারের রাজনীতির পর এখন যখন তিনি বাংলার রাজনীতিতে আসছেন, এটাকেও দেশের হয়ে রাজনীতি বলেই দেখছেন অভিনেতা।