বাংলাহান্ট ডেস্ক: চারিদিকে ক্যামেরার ঝলকানি, সবসময় দর্শক, ভক্তদের আতশ কাঁচের থাকে মুখ, শরীরের খুঁটিনাটি। কোথাও একটু খুঁত দেখলেই ধেয়ে আসে বক্রোক্তি। অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবন বড় সহজ নয়। বিশেষ করে নায়িকাদের। বিয়ের পিঁড়িতে বসার পর শুনতে হয় কেরিয়ার শেষ। মা হওয়ার পর আসে বাড়তি ওজন নিয়ে কটাক্ষ। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরীরও (Sonali Chowdhury)।
এই মুহূর্তে জি বাংলায় ‘বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’ সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ছোট্ট বোধির মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। দু বছর পর ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছেন সোনালী। মাতৃত্বের সুখ পেয়েছেন এক বছর হল। ছেলেকে বাড়িতে রেখেই শুটিং করছেন তিনি। সেটেও অবশ্য খুদেদের সামলাতে হচ্ছে তাঁকে।
এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সোনালী জানান, এই ব্যাপারটার জন্যই তিনি বোধিসত্ত্বর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন। কারণ বাড়ি আর শুটিং সেট দু জায়গাতেই বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে পারবেন। ব্যাপারটা খুব উপভোগ করেন সোনালী।
গত বছর মে মাসে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সোনালী। স্বাভাবিক ভাবেই ওজন বেড়েছিল বেশ খানিকটা। কিন্তু জিমে যেতে পারেননি তিনি। তাঁকে ছাড়া ছেলের যদি অসুবিধা হয় সেই চিন্তা করে। আবার পাশাপাশি এই চিন্তাটাও মনে জাঁকিয়ে বসত যে আগের চেহারায় আদৌ তিনি ফিরতে পারবেন তো?
সোনালী জানান, সন্তান জন্মের পর পর স্টার জলসার ‘ইসমার্ট জোড়ি’র থেকে ফোন এসেছিল তাঁদের কাছে। ৭২ কেজি ওজন নিয়েই শুটিংয়ে গিয়েছিলেন সোনালী। নেটিজেনদের অনেকেই বাড়তি ওজন নিয়ে কথা শোনাতে ছাড়েননি। রোগা হওয়ার পরামর্শ এসেছিল। সোনালী বলেন, কেউ তাঁর পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টাই করেননি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যে সময়টার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাতে ওজন বাড়ার কথা মাথায়ই আসেনি। সেই মানসিক অবস্থাটাই ছিল না।