দিদি ডাকলেও তৃণমূলে যাব না! BJP-তে ফিরতে চেয়ে কাতর আর্জি মমতা-ঘনিষ্ঠের, তুঙ্গে জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন । আর ওদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা। শাসক থেকে বিরোধী, পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া সকলে। একদিকে যখন জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, অন্যদিকে তার সাথেই পাল্লা দিয়ে চলছে দল বদল, দলে ফেরার হিড়িক। সদ্য তৃণমূলের (TMC) মুকুল বিড়ম্বনা কাটতে না কাটতেই এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে দেখা করলেন একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ (Sonali Guha)।

সুকান্তবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়েই সোনালি গুহ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমার তৃণমূলে ফেরার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। হাত জোড় করছি। আমি ২ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। আমি আর তৃণমূলে ফিরব না। তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বকে নমস্কার জানাই। দিদি ডাকলেও আর যাব না। দিদিকে আমার অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।”

এদিন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন সোনালিদেবী। জানা গিয়েছে, দুই বছর দলে নিষ্ক্রিয় থাকার পর আবার বিজেপির সক্রিয় সৈনিক হিসেবেই ফের ময়দানে নামতে চান তিনি। এদিন তিনি বলেন, “আমি যখন টিকিট পাইনি, তখন বিজেপিতে যোগ দিই। তারপর দীর্ঘ দুই বছর পারিবারিক কারণে পার্টি থেকে অফ ছিলাম। সুকান্তবাবুর সঙ্গে আজ দেখা করেছিলাম। নেহাতই সৌজন্য। আমি বিজেপি করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

sonali guha 1

সূত্রের খবর, সুকান্তবাবু তাকে প্রয়োজন মতো সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছায়াসঙ্গী ছিলেন সোনালি গুহ। মুখ্যমন্ত্রীর গোটা রাজনৈতিক উত্থানের সাক্ষী তিনি। কিন্তু ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে টিকিট পাননি তিনি। এরপর কোনো দিক না দেখে রাগে-অভিমানে রাতারাতি বিজেপিতে যোগদান করেন এই তৃণমূল নেত্রী। তবে সেখানেও খুব একটা দাগ কাটতে পারেননি তিনি।

সেই সময়ই রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান তিনি। এর কিছুমাস পর অবশ্য বিজেপিতে যোগদানের জন্য ক্ষমা চেয়ে মমতাকে চিঠি লেখেন সোনালি। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বছর পেরিয়ে গেলেও সেই চিঠির কোনো উত্তর তৃণমূল তরফে এসে পৌঁছয়নি সোনালির কাছে। তবে এদিন ফের রাজনীতিতে ফিরতে চেয়ে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর