বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজো (Durgapuja) আসছে আসছেই ভাল। আহলেই এক নিমেষে শেষ! একথা অনেকেই বলে থাকেন। পুজোর আগে বাঁধাধরা নিম্নচাপ কেটে রোদ্দুর ওঠার অপেক্ষা, শহরের রাস্তা, অলিগলি সেজে ওঠা আলোর মালায়। আর তারপর মহালয়া আসলেই অফিশিয়ালি শুরু পুজো।
কিন্তু ছোট থেকে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের কাছেই পুজোর মাহাত্ম্য একটু হলেও কমেছে। ব্যস্ততায় আগের মতো পুজো উপভোগ করা হয়ে ওঠে না। একই রকম বক্তব্য অভিনেত্রী সোনামণি সাহারও (Sonamoni Saha)। ছোটবেলার পুজো আর এখনকার পুজোর মধ্যে অনেক তফাৎ। এখন হয়তো জৌলুসটা বেশি, কিন্তু ছোটবেলার আবেগটা কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে।
মালদায় থাকতেন সোনামণি। ছোটবেলার পুজো কেটেছে আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই। এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, বান্ধবীদের সঙ্গে পাড়ার প্যান্ডেলে বসে থাকতেন তিনি। বসে বসে ছেলে দেখতেন। কিন্তু ওই চোখে চোখে দেখা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকত ব্যাপারটা। প্রেম অবধি গড়ায়নি কখনো।
ছোটবেলায় পুজোর সঙ্গে একটা আলাদাই টান ছিল বলে জানান সোনামণি। দশমী আসলেই একটা মন কেমন। কী যেন একটা চলে যাচ্ছে জীবন থেকে। এখন আর সেসব অনুভবই করার সময় পান না ব্যস্ততায়। মালদার মেয়ে সোনামণি এখন টলিপাড়ার নায়িকা।
এবার আবার স্টার জলসার মহালয়ার অনুষ্ঠানে দেবী দূর্গা রূপে দেখা যাবে সোনামণিকে। তিনি জানান, এটা তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন। অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। এর আগে মা দূর্গার কোনো রূপেই কোনোদিন অভিনয় করেননি তিনি। এটাই প্রথম বার। অনেক প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন। দর্শকদের ভাল লাগবে বলেই আশা রাখছেন সোনামণি।