বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভুয়ো ভ্যাকসিন (vaccine) কাণ্ডে আতঙ্কের পারদ ক্রমশ চড়ছে। বুধবার সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর তৎপরতায় ফাঁস হয় কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের (vaccination camp) পর্দা। গ্রেফতার হয় ক্যাম্পের আয়োজক, নিজেকে IAS বলে দাবি করা দেবাঞ্জন দেব। এবার সোনারপুরের (sonarpur) বিধায়ক লাভলি মৈত্রের (lovely moitra) কাছে ভ্যাকসিন পরীক্ষার দাবি জানালেন বেশ কয়েকজন সোনারপুর বাসিন্দা।
না, সেখানে কোনো ক্যাম্প হয়নি। কিন্তু কসবায় ক্যাম্প হচ্ছে শুনে সেখানে গিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশো মানুষ। জানা যাচ্ছে, দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের কারোর কাছেই কোনো মেসেজ আসেনি। এরই মাঝে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হতে আতঙ্কে রয়েছেন সোনারপুরের বাসিন্দারা। তাই তারা বিধায়ক লাভলি মৈত্রের কাছে দাবি করেছেন ভ্যাকসিন আসল না নকল তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। লাভলিও জানিয়েছেন তিনি পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন ইতিমধ্যেই।
দেবাঞ্জন গ্রেফতার হওয়ার পরেই একের পর বিষ্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, শুধু কসবাতেই নয়, গত ১৮ জুন সিটি কলেজেও আয়োজন হয়েছিল ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। অবশ্যই ধৃত দেবাঞ্জন দেব ছিলেন আয়োজক। কলেজের এক প্রাক্তনীর মাধ্যমে আয়োজিত হয়েছিল ওই ক্যাম্প।
সেখানে পড়ুয়া ও কলেজের অধ্যাপকদের পাশাপাশি সাধারন মানুষরাও নিয়েছিলেন টিকা। ধৃত দেবাঞ্জন দেব দাবি করেছেন, বাগরি মার্কেট থেকে কিনেছিলেন তিনি সমস্ত ভ্যাকসিন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যখন সরকার থেকে বলা হচ্ছে রাজ্যে টিকা অপ্রতুল তখন কিভাবে এত সহজে তা পেয়ে গেলেন দেবাঞ্জন? আদৌ তা আসল তো? নাকি এতগুলো মানুষের শরীরে ভুয়ো টিকা প্রবেশ করানো হল? উত্তর খুঁজতে নেমেছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড বিভাগের আধিকারিকরা।