BanglaHunt ,বারুইপুর : বহিষ্কার করে দেওয়া হল সোনারপুর থানার আই সি অসিত বরণ কুইলাকে।কয়েক মাস আগেই তিনি সোনারপুর থানার আধিকারিক হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যেই এই ঘটনায় পুলিস মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস উপ লক্ষ্যে বারুইপুর জেলা পুলিসের উদ্যগে সোনারপুর থানার সহ যোগিতায় মাদক নিয়ে সচেতনতার জন্য পদ যাত্রা হচ্ছিল। সেই পদ যাত্রাতেই বারুইপুর পুলিস জেলা সুপার রশিদ মুনির খান,অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিত বসুর সামনেই সোনারপুর থানার আই সি কে নেশাগ্রস্ত অবস্তাতেই হাঁটতে দেখা যায়।মাদক বিরোধী দিবসে আধিকারিকের এই ভুমিকা দেখে কার্যত থ হয়ে যান বারুইপুর জেলা পুলিসের কর্তারা।
আধিকারিকের এই আচরণে সাধারন মানুষ আর পদ যাত্রায় অংশ গ্রহন কারি মানুষদের কাছে অসস্তিতে পড়তে হয় পুলিসের কর্তাদের। তাঁরা ওই আধিকারিককে সংযত থাকতে বলেন। কিন্তু,তাতে সংযত না হওয়ায় পদ যাত্রার মাঝ পথেই তাঁকে থানায় ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেন জেলা পুলিসের আধিকারিকরা।গাড়িতে করে তাকে থানায় ফেরত আনা হয়।থানার আধিকারিককে রাতেই বারুইপুর পুলিস জেলা অফিসে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বারুইপুর জেলা পুলিস সুপার তাঁকে কার্যত ভতসনা করেন। রাতেই সোনারপুর থানার দায়িত্ব সাময়িক ভাবে দেওয়া হয়েছিল নরেন্দ্রপুর থানার আই সি কে। এর পরেই বহিষ্কার করা হয় সোনারপুর থানার আধিকারিককে। কি কারনে বহিষ্কার তা নিয়ে মুখ খোলেননি জেলা পুলিসের কর্তারা। কিন্তু, তাঁরা স্বীকার করেছেন এই পদে থাকলে যে ধরনের সংযম জীবন যাপন করা উচিৎ তা করছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য পুলিসের কর্তারা। বারুইপুর জেলা পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিত বসু বলেন, সোনারপুর থানার আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারপুর থানার আধিকারিক হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব নেন ভাঙরের সি আই সৌগত রায়।
বুধবার বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস উপ লক্ষ্যে সোনারপুর থানার সহ যোগিতায় পদ যাত্রা হয় বৈকুণ্ঠপুর মোড় পর্যন্ত ,ছাত্র ছাত্রিরা,বিভিন্ন সেচ্ছাসেবি সংস্থা অংশ নিয়েছিল। এতেই দেখা যায় সোনারপুর থানার আধিকারিক নেশাগ্রস্ত অবস্তায় আছেন।বৈকুণ্ঠপুর মোড় পর্যন্ত ১ কিমি পদ যাত্রার মাঝ পথেই তাঁকে থানায় ফেরত যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে বক্তব্য রাখার সময় সোনারপুর থানার আধিকারিক অসংলগ্ন অবস্তায় বলতে শোনা যায় এস পি এই সব জিনিসে খুব উৎসাহী মানুষ আছেন। স্ত্রানিয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল এই সোনারপুর থানার আধিকারিক কে নিয়ে।তাঁর সময়েই বেশি করে সোনারপুর এলাকায় মদ গাঁজার ঠেক বসেছিল। আধিকারিক অসিত বরণ কুইলা এর আগে বারুইপুর থানার মেজ বাবু, ভাঙরের সি আই, বিষ্ণুপুর থানার মেজ বাবু,ফ্রেজারগঞ্জ থানার আধিকারিক হিসাবে কাজ করেছেন।