বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা কালে রোগের মারণ প্রভাব থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হল ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে যথেষ্ট দড়ি টানাটানি হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। কখনো সমস্ত ভ্যাকসিন নিজে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্র। কখনো বা রাজ্যের দাবি মেনে ২৫% ভ্যাকসিন তাদের দেবার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি। কিছুদিন আগেই ফের একবার নিজের ভাষণে রাজ্যের ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতিকে তুলে ধরে সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক যেন থামছে না। এদিন পর্লামেন্টারি অ্যাফেয়ারস মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ভ্যাকসিন নিয়ে ফের একবার আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকে। তার মতে রাহুল গান্ধীর ভারতীয় ভ্যাকসিনের উপর ভরসা নেই।
অন্যান্য বেশকিছু কংগ্রেস নেতা ভ্যাকসিন নিলেও এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেননি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। এদিন সেই সূত্র ধরেই কংগ্রেসের এই দুই বর্ষিয়ান রাজনৈতিক মুখকে আক্রমণ করেন প্রহ্লাদ। তিনি বলেন, “আমরা যখন জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলাম তখন অনেক কংগ্রেস নেতাই ভ্যাকসিনের গুনাগুন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এখন তারাই আবার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। যতদূর আমি জানি রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী এখনো ভ্যাকসিন নেননি। ওনাদের ভারতীয় ভ্যাকসিনের উপর বিশ্বাস নেই।”
প্রহ্লাদ যোশীর এই বার্তায় গান্ধী পরিবারের প্রতি কটাক্ষ যে স্পষ্ট এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ডিজিসিআই দেশে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল কংগ্রেস নেতাদের, সে কথাই এদিন আরেকবার তুলে আনতে চান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেক বিরোধী দলনেতাই। এক সময় ভ্যাকসিন নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও। তার মতে এই ভ্যাকসিন ছিল বিজেপি ভ্যাকসিন। তবে শেষপর্যন্ত এখন সুর নরম করেছেন তিনি। তার মতে সমাজবাদী পার্টি বিজেপি ভ্যাকসিনের বিরোধী তবে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন নিতে রাজি তারা এবং সকলে যাতে এই ভ্যাকসিন নেন তার জন্য প্রচারও করবে সমাজবাদী পার্টি। সবমিলিয়ে ফের একবার চরমে ভ্যাকসিন তরজা।