হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে! বিষ্ফোরক সোনু নিগম

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সংবিধানে কোনো ভাষাকেই ‘রাষ্ট্রভাষা’ (National Language) হিসাবে উল্লেখ করা নেই। হিন্দি দেশে সবথেকে বেশি মানুষের ভাষা হতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যারা হিন্দি বলেন না তাদের উপরেও জোর করে ভাষাটা চাপিয়ে দিতে হবে। ভাষা বিতর্ক নিয়ে এভাবেই নিজের মতামত জাহির করেছেন গায়ক সোনু নিগম (Sonu Nigam)।

হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃত কি নয়, এই নিয়ে কিছুদিন ধরেই জলঘোলা চলছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়। শুরুটা করেছিলেন অজয় দেবগণ ও কিচ্চা সুদীপ‌। দুই হিন্দি ও কন্নড় তারকার বিবাদ গোটা দেশে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিষয়টা নিয়ে এবার মুখ খুললেন সোনু।

Sonu Nigam Instagram Image
গায়কের কথায়, “আমি যতদূর জানি, ভারতের সংবিধানে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ হিন্দিতে কথা বলেন, আমি সেটা বুঝি। সেই সঙ্গে আমরা এটা কি জানি যে বিশ্বের সবথেকে পুরনো ভাষা তামিল? এখানে তামিল আর সংষ্কৃতের মধ‍্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে সবাই বলে তামিল নাকি সারা বিশ্বের মধ‍্যে সবথেকে পুরনো ভাষা।”

সোনুর মতে, দেশে এমনিতেই যথেষ্ট সমস‍্যা রয়েছে। এর মধ‍্যে আবার নতুন একটার কি খুব দরকার? ভাষা ভিত্তিক ভেদাভেদ তৈরি করে দেশবাসীর মধ‍্যে বৈষম‍্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি সোনুর। যারা হিন্দিতে কথা বলে না তাদের উপরেও ভাষাটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোনুর মতে, কে কোন ভাষায় কথা বলবে সেটা ঠিক করার অধিকার থাকা উচিত।

তিনি বলেন, “যে পঞ্জাবি সে পঞ্জাবিতে কথা বলুক, তামিল ভাষীরা তামিলে কথা বলুক। কেউ যদি ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে তবে সে ইংরেজিতে কথা বলুক।” সোনু জানান, একবার বিমান যাত্রার সময়ে কর্মচারীরা তাঁর সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বললেও তিনি হিন্দিতেই উত্তর দিচ্ছিলেন।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর