বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছর থেকেই লাগাতার সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে আসছেন অভিনেতা সোনু সূদ (sonu sood)। করোনা আবহে যারাই বিপদে পড়ে সাহায্য চেয়েছেন কাউকে ফেরাননি সোনু। কিন্তু বিপদ এবার তাঁর শিয়রে। গত কদিন ধরে অভিনেতার অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২০ কোটিরও বেশি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছে আয়কর দফতর।
এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন সোনু। তাঁর দাবি, তাঁর সংস্থার প্রত্যেকটা টাকা কারোর সাহায্যের জন্য রাখা ছিল। পাশাপাশি আয়কর দফতরের আধিকারিকদের ‘অতিথি’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।
একটি টুইটে বিবৃতি শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘তোমাকে সবসময় নিজের সাফাই দিতে হবে না, সময়ই তা দেবে। নিজের সর্বস্ব শক্তি ও হৃদয় দিয়ে ভারতবাসীকে সাহায্যের প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি। আমার সংস্থার প্রত্যেকটা টাকা কোনো অমূল্য জীবন বাঁচানোর জন্য বা অসহায়কে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। উপরন্তু অনেক সময় আমি বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে অনুরোধ করি আমার পারিশ্রমিকটা মানবিক স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য। গত চারদিন ধরে কয়েকজন অতিথির অভ্যর্থনা করতে ব্যস্ত ছিলাম, তাই আপনাদের সাহায্য করতে পারিনি। আমি আবার ফিরে এসেছি আপনাদের জন্য।’
https://twitter.com/SonuSood/status/1439812368830140419?s=19
সোনুর টুইটের উত্তরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘আপনার শক্তি আরো বাড়ুক সোনু জি। লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর নায়ক আপনি।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ঘোষনা করা হয় দিল্লি সরকারের প্রস্তাবিত ‘ভারত কে মেন্টর’ কর্মসূচীতে কাজ করবেন অভিনেতা। তাঁকে পড়ুয়াদের মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োজিত করা হয়েছে। এরপরেই আচমকা আয়কর দফতরের হানা। দুটোর মধ্যে সংযোগ সূত্র রয়েছে বলেই সন্দেহ অনেকের।
শুক্রবার অভিযোগ ওঠে ২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন সোনু। তাঁর অলাভজনক সংস্থা গত বছর থেকে চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ কোটি টাকা অনুদান তুলেছে। তার মধ্যে মাত্র ১.৯ কোটি টাকা ব্যবহার হয়েছে ত্রাণকার্যে। বাকি ১৭ কোটি টাকা ব্যবহারই হয়নি। আরো অভিযোগ উঠেছে, বিদেশি সংস্থার থেকে ২.১ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান গ্রহণ করেছে অভিনেতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এতে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ আয়কর দফতরের তরফে।