বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোনু সূদ (sonu sood), লকডাউনে এই নামটার সঙ্গে যেন নতুন করে পরিচিত হয়েছিল দেশবাসী। এমন নয় যে সোনুকে আগে কেউ চিনতেন না। অভিনেতা হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় না হলেও তাঁর পরিচিতির সঙ্গে ওয়াকিবহাল ছিলেন সকলেই। কিন্তু মহামারির সময় যেন সোনুর এক অন্য রূপের সঙ্গে পরিচিত হল মানুষ।
করোনা পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে কিভাবে নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে যখন তাবড় রাজনীতিবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, সেই সময়েই ত্রাতা হিসাবে এগিয়ে আসেন সোনু। তথাকথিত প্রথম সারির তারকা না হয়েও সম্পূর্ণ নিজের উদ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিজের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সোনু।
সেই শুরু, তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি অভিনেতা। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ, কারোর অসুস্থতা, বিপদের কথা শুনলেই ছুটে যাচ্ছেন নিজে বা পাঠাচ্ছেন সাহায্য। আক্ষরিক অর্থেই ‘গরিবের ভগবান’ হয়ে উঠেছেন সোনু সূদ।
তবে এত খ্যাতি পেয়েও মাটির কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছেন সোনু। নিজের কাজ নিজেই করতে ভালবাসেন তিনি। এই যেমন শুটিং সেটে গিয়ে নিজের হাতে সকলের সঙ্গে ধোসা বানিয়েছেন অভিনেতা। শুটের ফাঁকে নিজের জন্য ও বাকি সবার জন্য খাবার বানালেন তিনি। মজা করে বললেন শুটিং না থাকলেও নাকি খাবার বানানোর জন্য তাঁকে সেটে আসতে হচ্ছে।
https://www.instagram.com/tv/CNjTVTDgU4A/?igshid=6ldr416lso48
সম্প্রতি এক শিশুর হার্টের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ নিজের কাঁধে তুলে নেন সোনু। ঝাঁসির নন্দনপুরার বাসিন্দা ছোট্ট আহমেদের হার্টে ফুটো রয়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে এক বছরের আহমেদের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না তাঁর বাবা মা।
এই খবর পড়েই শিশুটির সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন সোনু। ৪ ঠা এপ্রিল থেকে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। শোনা গিয়েছে আহমেদের বাবা মাকে মুম্বই ডেকে নিয়েছেন সোনু। এখানেই হবে শিশুটির চিকিৎসা। সোনুর এই মহানুভবতায় ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে নেটমহলে।