বাংলাহান্ট ডেস্ক: জিয়া খান (Jiah Khan), বলিউডের অনেক নাম এক সময়ে স্মৃতির অতলে হারিয়ে গেলেও এই নামটা এখনো জ্বলজ্বলে হয়ে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। এক নামী অভিনেত্রী হওয়ার সব রকম সম্ভাবনা ছিল জিয়ার মধ্যে। যেকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সবেতেই দর্শকদের মন জিতেছিলেন। কিন্তু বেশিদিন বলিউডে থাকা হয়নি তাঁর। ২০১৩ সালের ৩ রা জুন নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় জিয়াকে।
প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও অভিনেত্রীর মা খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর তখনকার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির (Sooraj Pancholi) বিরুদ্ধে। কিছুদিন জেলেও কাটিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সলমন খানের দৌলতে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান সুরজ। আর এবারে বেকসুর খালাসও পেয়ে গেলেন তিনি।
দীর্ঘ দশ বছর খাতা ধরে নানান আইনি লড়াইয়ের পর আবারো খোলে জিয়া খান মৃত্যু রহস্যের খাতা। শুক্রবার মুম্বইয়ের এক বিশেষ সিবিআই আদালত অভিযুক্ত সুরজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস করে দেয়। বিচারক এ এস সৈয়দ রায় ঘোষণা করে বলেন, যেহেতু সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই, তাই তাঁকে বেকসুর খালাস করা হল।
২০১৩ সালের জুন মাসে জিয়ার বাসস্থানে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে সময়ে আদিত্য পাঞ্চোলি এবং জারিনা ওয়াহাব পুত্র সুরজের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। জিয়ার মৃত্যুর কয়েকদিন পর একটি ছ পাতার চিঠি উদ্ধার হয় যা জিয়াই লিখে গিয়েছিলেন বলে মত ছিল পুলিশের। সেই চিঠির বয়ানের উপরে ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় সুরজকে।
তাঁর বিরুদ্ধে জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ তুলেছিলেন প্রয়াত জিয়ার মা রাবিয়া খান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, সুরজের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারেই নাকি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন জিয়া। গ্রেফতার হওয়ার পর জেলেও গিয়েছিলেন সুরজ। কিন্তু তাঁর বলিউড ডেবিউ বাঁচাতে ‘গডফাদার’ হয়ে তাঁকে জেলের বাইরে নিয়ে আসেন সলমন খান।
রাবিয়া খান অবশ্য হাল ছাড়েননি। পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপরেই জিয়ার মামলা মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সরে যায় সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু সিবিআই তদন্ত করে জানায় যে জিয়া আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৯ সালে সেশন কোর্টে মামলা চলেছিল কিছুদিন। ফের ২০২১ এ সেশন কোর্ট থেকে মামলা যায় সিবিআই স্পেশ্যাল কোর্টে।