বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেদারল্যান্ডের রেক এবার বাংলার (west bengal) মাটিতে! তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির মাটিতেই। চলবে আসানসোল ডিভিশনে। বিদেশী ঘরানার অত্যাধুনিক এবং ঝা চকচকে রেক এবার দেখা যাবে খোদ বাংলাতেই। এমনকি কিছুদিনের মধ্যেই তা এসে পৌঁছাবে আসানসোলের মেমু শেডে- এমনটা জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক রেকে থাকবে- গদিযুক্ত বসার আসন, প্রতি কামরায় চারটি করে সিসি ক্যামেরা, মেট্রোর আদলে দরজা, জানালা, আধুনিক বায়ো টয়লেট, রেসকিউ ডিভাইস মোড, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, সর্বত্র সেনসরযুক্ত এবং বিমানের ককপিটের আদলে চালকের কেবিনও। সঙ্গে থাকবে, বিপদ সংকেত বুঝে নিজে থেকেই থেমে যাওয়ার ক্ষমতা। সব মিলিয়ে দেশে বসেই বিদেশের আবহাওয়া উপভোগ করতে পারবেন বঙ্গবাসী।
নেদারল্যান্ডের আধুনিক প্রযুক্তির এই রেক কিছুদিনের মধ্যে বিভিন্ন ট্রায়াল সম্পন্ন করে সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু হবে বলেও জানা গিয়েছে। লোকাল ট্রেনে চালকের বসার কেবিন না থাকলেও, এখানে থাকবে বিমানের ককপিটের আদলে চালকের বসার জন্য পুরো এসি কেবিন। চালকের সামনে থাকবে ডিসপ্লে বোর্ড, যেখানে সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন চালক।
ট্রেনের গতি দ্রুত কমানো বাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক থ্রি-ফেজ এসি মোটর থাকবে। ১২ কোচের এই গাড়িতে থাকবে মোট ৪৮ টি সিসি ক্যামেরা, যা যাত্রী নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ব্যবহার করা হবে। ট্রেন স্টিল বডি হওয়ায়, বাইরে থেকে দেখতেও লাগবে বেশ সুন্দর, বৃদ্ধি হবে সৌন্দর্য্য। দরজাও থাকবে সম্পূর্ণ মেট্রোর আদলেই। যাত্রীদের দাঁড়ানোর জন্য থাকবে বেশ কিছুটা জায়গা। ট্রেনের মধ্যেই ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে ফুটে উঠবে পরবর্তী স্টেশনের নাম এবং শোনা যাবে ভয়েসও। তবে এত সুযোগ সুবিধাযুক্ত ট্রেনের ভাড়া কেমন হবে, তা নিয়ে এখনও অবশ্য কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক সুবলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘অত্যাধুনিক একটি রেকটি এসেছে। এটির ট্রায়াল রান শেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর নির্দেশ মত এটি যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হবে’।