বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নারদা মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখার্জী এবং মদন মিত্রকে গ্রেফতারের পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy), তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষরাও (Kunal Ghosh)।
সৌগত রায়ের কথায়, ‘সিবিআই তো খাঁচায় বন্দী থাকা একটা তোতা। মোদী শাহের নির্দেশেই তাঁরা এসমস্ত করছে। নির্বাচনে হেরে গিয়েই এমন কাজ করছে বিজেপি। এই প্রতিহিংসা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আদালতে এর মোকাবিলা করা হবে’।
অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘সিবিআই-র ক্ষমতা থাকলে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদেরও বাড়ি থেকে নিয়ে আসুক। বিজেপির কোলে বসে রয়েছে বলে, ওঁরা কি বাদ যাবে?’
তৃণমূলের অভিযোগ এই গ্রেফতার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নাহলে নারদার অভিযোগের তালিকায় নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়েরও। তাঁরা এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, তাঁরা কি বাদ যাবেন? তাদেরকেও আটক করতে হবে। তাঁদের নাম কেন চার্জশিটে দেওয়া হয়নি? এক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে, মামলা শুরু হওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়রা বিধানসভার সদস্য ছিলেন না। তাই তাঁদের নাম নেই এই তালিকায়। নারদা কান্ডের সময় ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখার্জী এবং মদন মিত্র মন্ত্রী থাকায় রাজ্যপালের থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিজাম প্যালেসে এই চারজনকে দিয়ে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।