বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছর হয়ে গেল সৌমিত্র হারা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। গত বছর এই দিনেই ইন্দ্রপতন হয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্র জগতে। প্রয়াত হয়েছিলেন কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (soumitra chatterjee)। দেখতে দেখতে বছর ঘুরে আজ ‘অপু’র মৃত্যু বার্ষিকী। শুধু যে বাংলা ছবির দর্শক, অসংখ্য ভক্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েছে তা তো নয়। মেয়ে পৌলমী বসুও (poulomi basu) হারিয়েছেন তাঁর বাবাকে।
এদিন বাবার স্মৃতিচারণায় ভাসলেন পৌলমী। তাঁর নাটক দল মুখোমুখির তরফে টাইপিস্ট নাটকের মধ্যে দিয়েই শ্রদ্ধা জানানো হল প্রয়াত অভিনেতাকে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের মাস কয়েক পরেই প্রয়াত হন স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পৌলমী জানান, মা বাবা চলে যাওয়ার পর একের পর এক দুর্ঘটনা লেগেই ছিল পরিবারে।
তাঁর দুই ছেলে মেয়েরই করোনা ধরা পড়েছিল। কিন্তু ভেঙে পড়েননি সৌমিত্র-কন্যা। বাবা শিখিয়ে গিয়েছিলেন, লড়াই করেই বাঁচতে হবে জীবনে। সেটা তিনি নিজেও মেনে এসেছেন আর এখন ছেলে মেয়েরাও মানেন। নিজে জীবনের প্রায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজের মধ্যে থেকেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাবার শিক্ষায় শিক্ষিত মেয়েও সেটাই মেনে চলার চেষ্টা করেন।
পৌলমী জানান, গতকালই বাবার দুটো নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এভাবেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মেয়ে। অভিনেতার নামে একটা ট্রাস্ট তৈরি করার পরিকল্পন রয়েছে তাঁর। সেখানে তাঁর অভিনীত ভাল ছবি, আঁকা, নাটকগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
গত বছর ১৫ নভেম্বর সকালে বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার পর নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই প্রয়াত হন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।