বাংলা সিনেমার বটবৃক্ষ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chattopadhyay) আজ পাড়ি দিলেন অনন্তলোকের পথে। ৬১ বছরের দীর্ঘ চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন নবীনদের মাথার ছাদ। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় (swasata Chattopadhyay) লিখলেন তার ডাক নাম অপু, সৌমিত্রের অপুর সংসার দেখেই রাখা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকায় অভিনেতা লিখেছেন, ‘সৌমিত্র জ্যেঠু’র মৃত্যুটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তার বিশ্বাস ছিল উদয়ন পন্ডিত ফিরে আসবেন। শেখাবেন বেঁচে থাকার মন্ত্র। এই লেখাতেই তিনি লেখেন তার ডাক নামের রহস্য, ‘আমার ডাকনাম ‘অপু’, ওঁর ‘অপুর সংসার’ দেখে আমার জ্যাঠতুতো দাদা নামটা দিয়েছিলেন।’ এই নাম মেনে নিয়েছিলেন তার বাবা অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু তার আক্ষেপ ‘ওঁকে বলা হয়নি কখনও’। একই সাথে তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজের প্রতি অনুরাগকেও স্মরণ করেছেন।
আজ বেলা ১২ টা ১৫ নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ বিয়োগ বেদনায় স্তব্দ টলিপাড়ায় এখন শুধুই স্মৃতির রোমন্থন।
অভিনেতা দেব স্মৃতিচারণে এনেছেন সাঁঝবাতি সিনেমার প্রসঙ্গ। ‘তুমি যেখানেই থেকো ভালো থেকো, তোমাকে খুব মিস করবো ছানা দাদু’ লিখেছেন দেব। টলিপাড়ার আরেক তারকা জিৎ তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, কিংবদন্তির মৃত্যু, বাংলা সিনেমার রাজা চলে গেলেন। তিনি আমাদের হৃদয়ে অমলিন থাকবেন। একই ভাবে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সৃজিত, মিমি, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তীরা।
সৌমিত্রের বায়োপিকের পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ ফোন করে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইবেন না। এই ক্ষতি আমার একান্ত নিজের। একে শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা যাবে না। আরেক অভিনেত্রী স্বস্তিকা চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, এই বছরটা সবকিছু সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে… বাবা-মা, কিংবদন্তি,ছেলেবেলা,নস্টালজিয়া… সব.. নির্দয় বছর।