উদয়ন বিশ্বাস ,বাংলাহান্ট-ভারতবর্ষের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির যে প্রতিনিধিরা লড়াই করেছে সারা ভারতবর্ষে জুড়ে তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করার পর তার নামে একাধিক অভিযোগ ওঠে সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এলাকায় ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোর্ট। সেই মতন তিনি এলাকায় ঢুকতে পারেননি এবং ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, দিতে পারেনি নিজের ভোটটা৷ সেই রকম অবস্থায় দাঁড়িয়ে রেজাল্ট বেরোনোর পর দেখা গেল তিনি প্রায় ৮০হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন, কারণ তার হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন তার স্ত্রী সুজাতা খাঁ।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে দায়িত্ব ছিল তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভা করেছেন এবং বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল কে দল বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয় কিন্তু সব উপেক্ষা কে পরাজয় করে অবশেষে জয় লাভ করেন সৌমিত্র খাঁ। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল রাজনীতির একাধিক নক্ষত্র এখন বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছে কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব বারবারই দাবি করছেন তাদের লক্ষ্য ২০২১ বিধানসভার নির্বাচন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমে সত্যি বিজেপি কোন দাগ কাটতে পারে কিনা সেই দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে সৌমিত্র খাঁ কে বিষ্ণুপুরের দায়িত্ব দেওয়া হলো কারণ বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল কে কাগজের সাথে তুলনা করেছে এবং সৌমিত্র খাঁ কে অাসল বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছে।
বিজেপি নেতৃত্ব বোঝাতে চাইছে যে এলাকায় না ঢুকে জয় লাভ করতে পারে এবং বিষ্ণুপুরে অনুব্রত মণ্ডল প্রচারে এসেছিল অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডল বিষ্ণুপুরে কোন ফ্যাক্টর হবে না। বিজেপি তাই অনুব্রত কে কাগজের বাঘ আর সৌমিত্র কে সত্যি কারের বাঘের সাথে তুলনা করেছে। এখন দেখার বিষয় সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে কোন শক্তি বাড়াতে পারে কিনা। বিজেপিনেতৃত্ব সেই দিকে তাকিয়ে। বিজেপির ২১জন যে টিম তৈরি হয়েছে। সেখানে ও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সৌমিত্র খাঁ কে এবং গতকালই যুব বিশেষ পদে তাকে নিয়োজিত করা হয়েছে, ফলে সৌমিত্রর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ অনুব্রত ঘরে গিয়ে অনুব্রত কে কোণঠাসা করে রাখা।
এই ব্যাপার অনুব্রত মন্ডলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি কিন্তু সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন বীরভূম থেকে বিজেপি বিধানসভা প্রায় সবকটি আসন জয়লাভ করবে কারণ এ বছর বীরভূম লোকসভা জিতলেও তাদের ভোট শতাংশ অনেকগুণ কমেছে এবং অনুব্রত মণ্ডলের নিজের এলাকায় হেরে গেছেন। তাই আগামী বিধানসভায় মানুষ একটা পরিবর্তন চাইছে, সেই পরিবর্তনে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বীরভূমে, আমি বীরভূমের মানুষের উন্নয়নের জন্য সব সময় আসব এবং বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব বলে জানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, তিনি আরো বলেন অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে বন্দুকের কারখানা গড়ে তুলেছে গোটা বীরভূম জুঁড়ে তা যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে আমি লিখিতভাবে অভিযোগ করবো।
এখন দেখার বিষয় ২০২১এর বিধানসভা ভোটের আগে কতটা জমি শক্ত করতে পারে বিজেপি সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা