বাংলাহান্ট ডেস্ক : একে একে দল ছেড়েছেন বঙ্গ বিজেপির বহু তাবড় নেতা। অর্জুন সিং, থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি নেতাদের তালিকাটা নেহাত কম নয়। এরই মাঝখানে প্রবল হয়ে উঠেছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা। এবার রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করে সেই জল্পনা ওড়ালেন সৌমিত্র। একই সঙ্গে রীতিমতো মারাত্মক কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
এদিন এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সৌমিত্র খাঁ। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। আর সেই ফেসবুক পোস্টটিকে ঘিরেই তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক বিতর্ক। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঠিকাদার ভাইপোর অধীনে সৌমিত্র খাঁ রাজনীতি করবে না। তাও আবার তোলামূল পার্টি। সংবাদমাধ্যম গুলি কি গঞ্জিকা সেবন করেছে?’
সপ্তাহ খানেক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনের ঘরওয়াপসির পরই খানিক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। বড়সড় পরিবর্তন আনা হয় সাংগঠনিক স্তরেও। যুব মোর্চার দায়িত্বের বদলে সৌমিত্র খাঁয়ের হাতে যায় শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব। এই নতুন পদ পেয়েও একই ভাবে গর্জে উঠেছিলেন সৌমিত্র।
সেদিনও তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, ‘আগে যখন মুকুল রায়, সুজাতা আরও অনেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিল তখন আমার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন অনেকে। অনেকেই বলেছিলেন আমিও নাকি শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে পারি। কিন্তু আমি তখনও বলেছিলাম, বাংলার চতুর শেয়াল হচ্ছেন ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চতুর শেয়াল যেদিন তৃণমূল থেকে সরে যাবেন সেদিন আমিও আবার তৃণমূলে ফেরার কথা ভাবব। সবকিছুর মূলেই রয়েছেন ওই চতুর শেয়াল হরিদাস ভাইপো।’ এবার আরও একবার একই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। কার্যতই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন যে, অন্য যেই দল ছাড়ুক না কেন, যতদিন অবধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে রয়েছেন ততদিন কোনও মতেই তৃণমূলে ফিরবেন না তিনি। তবে কোনওভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল থেকে সরে গেলে কী আবার ঘর ওয়াপসির পথেই হাঁটবেন তিনিও? এই প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে।