বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই তুঙ্গে উঠেছিল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা। সেই সমস্ত জল্পনা সত্যি করে রবিবার বিকেলেই ক্যামাক স্ট্রীটের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এহেন ‘ঘর ওয়াপসি’ এর পর কার্যতই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতেই সুর চড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জানালেন অর্জুন সিংএর ঘর ওয়াপসির ‘আসল’ কারণ।
রবিবার রাতে একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা যায় সৌমিত্র খাঁকে। এদিন তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে ব্যবসা এবং রাজনীতি এই দুই করতে হলে তৃণমূল করতেই হবে। অর্জুন সিং ডেঁপো ভাইপোর থেকে মালা পরলেন। যেভাবে ছাগলকে মালা পরিয়ে বলিদানের জন্য হাঁড়িকাঠে দেওয়া হয় অর্জুন সিংয়ের অবস্থাও তাই। এসএসসি দূর্নীতির ঘটনার মূল নায়ক ভাইপোর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান অর্জুনের কাছে মৃত্যুর সমান। আসলে এসএসসি কেলেঙ্কারি থেকে নজর ঘোরাতেই যোগ দেওয়ানো হয়েছে ওঁকে।’
এখানেও থামেননি বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তিনি আরও বলেন, ‘অর্জুন সিং দুহাজার সাল থেকেই কাউন্সিলর বিধায়ক। কিন্তু তবুও পাট সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারেননি। সম্প্রতি পাট নিয়ে তাঁর যে ব্যথা উঠেছিল আমি ও শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহকে ধরে নরেন্দ্র মোদীর মাধ্যমে তা ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করে দিয়েছিলাম। তারপরও তাঁকে যেতে হয়েছে তৃণমূলে কারণ তাঁর ব্যবসাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলের যোগ দিলেও বিজেপির টিকিটে জেতা সাংসদ পদ ত্যাগ করেননি অর্জুন সিং। এই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের টিকিটে জেতা এমন দু জন সাংসদ আছেন, যাঁরা বিজেপির সঙ্গে সারাক্ষণ রয়েছেন। ওঁরা যেদিন সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন, তার এক ঘণ্টার মধ্যে আমিও ছেড়ে দেব।’ কারও নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিতে মোটেই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কাঁথি এবং তমলুকের তৃণমুলের টিকিটে জেতা দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। এই দুই সাংসদকেই বিঁধে অর্জুন সিংয়ের দাবি, ওঁরা তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হতে পারলে তিনি তৃণমূলে ফিরতে পারবেন না কেন।