বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যে ভাবে প্রায় পনেরো দিন ধরে উত্তপ্ত হয়েছে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় অসম উত্তরপ্রদেশ ত্রিপুরা মেঘালয় থেকে শুরু করে দিল্লি সর্বত্রই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে এই বিক্ষোভের আগুনে মৃত্যু হয়েছে এখনও অবধি এগারোজনের। ক্রমশই যেন হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে।
যদিও বঙ্গে এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর নেই কিন্তু রাজ্যে শাসক শিবির ও বিজেপির মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ অব্যাহত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সমর্থন করেছেন রাজ্যের শাসক শিবিরের ষাট জন বিধায়ক তাই তাঁরা নাকি তৃণমূল ছাড়তে প্রস্তুত এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি তিনি আরও জানালেন এই 60 জন বিধায়কদের মধ্যে প্রভাবশালী মন্ত্রীরাও রয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের পাশাপাশি সমর্থন এসেছে রাজ্য থেকেই।
তাই তো শনিবার শহর কলকাতায় উদ্বাস্তু হিন্দুরা নাগরিকত্ব সংসদে আইনের সমর্থনে মিছিলে পা মিলিয়েছেন আর এ দিন অর্থাত্ শনিবারই ময়ূরেশ্বরের একটি সভায় যোগ দিতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দলের ষাট জন বিধায়ক নাকি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন করে বিজেপিতে ভিড়তে চাইছে। পাশাপাশি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি এই বিধায়করা কাজ করতে পারছেন না এমনটাও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
যদিও এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যের এই অশান্ত জনক পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কেউ বিরোধিতা করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি ধর্মের বিভেদ ঘটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামাচ্ছেন ঠিক এমনটাই অভিযোগ তোলেন সৌমিত্র।