বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসে তখনই বোঝা গিয়েছিল এী পর আর কী কী হবে। হয়েছেও ঠিক তাই। রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। পাল্টা জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি লিখে অখিল গিরির গ্রেফতার দাবি করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
শুক্রবার বিকেলে নন্দীগ্রামে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তার একটু আগেই নন্দীগ্রাম স্মৃতি সৌধের কাছে তৃণমূলের (TMC) মঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ওই কর্মসূচি থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে অখিল বলেন, ‘আমি নাকি দেখতে খারাপ। নিজের রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু তোমাদের রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা!’
সুকান্ত মজুমদার থেকে অমিত মালব্যরা সেই ফুটেজ নিয়ে হইহই করে মাঠে নামেন। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী অংশের মানুষ। সর্বোপরি তিনি মহিলা। মমতার মন্ত্রীর এই কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল মহিলা ও আদিবাসীদের কতটা সম্মান করেন!
এরপরই সৌমিত্র খাঁ চিঠি লেখেন জাতীয় মহিলা কমিশনকে। অখিলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিও জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ। শনিবার দুপুরে কলকাতায় এ নিয়ে পৃথক কর্মসূচিও নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
এরপর এক রকম চাপে পরেই ক্ষমা চান অখিল। তিনি আরও একটি প্রকাশ্যে আনেন। সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এক মাস আগে থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। আমি বয়স্ক মানুষ। আমার মনে ক্রোধ জন্মেছিল। রাষ্ট্রপতি মহোদয়াকে আমি কোনও অসম্মান করিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তা ক্রোধের বশে বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত।’
অখিল গিরি ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক যে অনেক দূরই এগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।