বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘মিঠাই’ (Mithai) বলতে এখন একজনেরই নাম মনে আসে সবার আগে। তিনি সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)। একটি সিরিয়ালের মাধ্যমেই গোটা বাংলার দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। মিঠাই এর আগেও একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন সৌমিতৃষা। কিন্তু মিঠাইয়ের মতো জনপ্রিয়তা কোনোটাতেই পাননি। মিঠাই তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় তুলে দিয়েছে।
ছোটপর্দার সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তালিকায় নিজের যোগ্যতায় নাম লিখিয়েছেন সৌমিতৃষা। তাঁর ব্যাপারে এতটুকু কোনো তথ্য জানার জন্যও উদগ্রীব হয়ে থাকেন অনুরাগীরা। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন, মিঠাইয়ের মতো বাস্তবেও কি সৌমিতৃষার কোনো মনের মানুষ আছে?
অনুরাগীদের মনের জিজ্ঞাসাটাই প্রশ্ন হয়ে ফুটে উঠল সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলতে এসেছিলেন সৌমিতৃষা। সঙ্গে ছিলেন তিন ননদ শ্রীতমা, নীপা এবং নন্দা ওরফে দিয়া, ঐন্দ্রিলা এবং কৌশাম্বী।
এদিন মিঠাই এর পাশাপাশি ব্যক্তি সৌমিতৃষার ব্যাপারেও প্রশ্ন করেন রচনা। তিনিই প্রসঙ্গ তোলেন অভিনেত্রীর মনের মানুষ নিয়ে। মিঠাইয়ের তো উচ্ছেবাবু আছে। সৌমিতৃষার কি কোনো করলাবাবু আছে? প্রশ্নের ঢঙে হেসে ফেলেন অভিনেত্রী। তারপরেই ঘাড় নেড়ে বলে ওঠেন, এখনো কোনো বিশেষ মানুষ তাঁর জীবনে আসেনি।
তবে কেমন সঙ্গী পছন্দ সৌমিতৃষার? উত্তরে অভিনেত্রী জানান, এমন কেউ যে তাঁকে যত্ন করবে। আদরে মুড়ে রাখবে। আসলে পর্দায় মিঠাই বেশ করিৎকর্মা হলেও বাস্তবে সৌমিতৃষা মাকে ছাড়া চোখে অন্ধকার দেখেন। সকালবেলা পায়ের স্লিপার এগিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে শুটিংয়ে বেরোনো পর্যন্ত প্রতিটা কাজেই মাকে দরকার হয় তাঁর। মনের মানুষটিও যদি কাজগুলো করে দেয় তাহলে সোনায় সোহাগা হয়ে যাবে বলে জানান মিঠাই।
এদিন কৌশাম্বী ফাঁস করেন, সৌমিতৃষা অসুস্থ হলে নাকি মোটেই ওষুধ খেতে চান না। সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী বলে ওঠেন, তাঁর ওষুধ খেতে ভাল লাগে না ঠিকই। তবে কোনো সুদর্শন ডাক্তার এসে যদি খেতে বলে তাহলে তিনি না করতে পারবেন না।