বাংলাহান্ট ডেস্ক: একে একে সবকিছুই হাতছাড়া হচ্ছে। ‘ফুলকি’র আগমনের পথ প্রশস্ত হচ্ছে জি বাংলায়। ‘মিঠাই’ (Mithai) ভক্তদের কাছে এখন শুধুই সিরিয়াল শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষাই বাকি রয়ে গিয়েছে। গুঞ্জন বলছে, জুনের শুরুতেই টেলিভিশন থেকে বিদায় নেবে এখনকার সবথেকে পুরনো সিরিয়াল মিঠাই। দু বছর কেটে গেলেও এই মেগার জনপ্রিয়তা কিন্তু একই আছে। তবে সম্প্রতি একটা খবরে মন ভেঙে গিয়েছে দর্শকদের।
মিঠাই শেষ হওয়ার আগেই সেট ছাড়তে চলেছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)। ইতিমধ্যেই মিঠাইয়ের এতদিনের পুরনো সেট ‘মনোহরা’ ভাঙা পড়েছে। দু বছর পর সেই চেনা সেট ছেড়ে নতুন সেটে চলে যেতে হয়েছে মিঠাই পরিবারকে। শুধু তাই নয়, পরিচালক, ডিওপি সকলেই চলে গিয়েছে ফুলকিতে। শোনা যাচ্ছে, মিঠাইয়ের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীও নাকি থাকবেন ফুলকিতে।
কিন্তু নায়িকাই যদি না থাকেন তাহলে সিরিয়াল চলবে কী করে? সত্যিই কি শেষের মুখে দাঁড়িয়ে মিঠাইকে বিদায় জানাচ্ছেন সৌমিতৃষা? না, দর্শকদের চিন্তার কোনো কারণই নেই। মিঠাই রানী হিসেবে শেষ পর্যন্ত সৌমিতৃষাকেই সিরিয়ালে দেখতে পাবেন দর্শকরা। তবে আপাতত কিছুদিন তিনি সম্ভবত দূরে থাকবেন সেট থেকে।
আসলে সৌমিতৃষা যে অসুস্থ সে খবর আগেই আমরা দিয়েছিলাম পাঠকদের। শিড়দাঁড়ায় ব্যথা হয়েছে তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, পিঠে ব্যথা তাঁর আগে থেকেই ছিল। সেই অবস্থাতেই টানা কাজ করছিলেন। উপরন্তু নতুন সেটে বারবার করে সিঁড়ি ভাঙতে হচ্ছে। তাতেই আরো বেড়েছে ব্যথা।
সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে মিঠাই বলেন, ব্যথা নিয়েই কাজ করছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে একটি নাচের সিকোয়েন্স ছিল তাঁর। সৌমিতৃষা ভেবেছিলেন, হয়তো নাচতে গিয়েই কোনো ভাবে পিঠে টান লেগে থাকবে। কিন্তু উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে যন্ত্রণা।
ডাক্তার তাঁকে দু সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে বলেছে বলে জানান সৌমিতৃষা। সেকথা তিনি সিরিয়াল নির্মাতা এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বিশ্রাম নিয়ে নিয়েই কাজ করছিলেন বলে জানান সৌমিতৃষা। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। তাই তাঁকে নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ছুটি তিনি পাবেন নিশ্চয়ই। তখন সম্ভবত কিছুদিন দেখা মিলবে না সৌমিতৃষার।
দর্শক এবং অনুরাগীরাও ভারত লক্ষ্মী স্টুডিওতে গিয়ে দেখা করে আসছেন। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর উপহার। ছোট্ট মিষ্টি ওরফে অনুমেঘা কাহালিও একটি ছবি শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মিঠির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে খুদে লিখেছে, ‘তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো মিঠাই দিদি’।