বাংলাহান্ট ডেস্ক: টিআরপিতে সেরার তকমা দখল নাই করতে পারুক, চর্চায় কিন্তু সবসময় একটাই না ‘মিঠাই’ (Mithai)। জি বাংলার এক সময়কার বাংলা সেরা এই সিরিয়াল (Serial) অনেকদিন হল তার সিংহাসন হারিয়েছে। যদিও খুব একটা টলানো যায়নি মিঠাই রানীকে। কারণ এক নাগাড়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চ্যানেল সেরা হয়ে আসছে এই সিরিয়াল।
তবে চর্চাটা কিন্তু মিঠাইয়ের অনস্ক্রিন ব্যাপার স্যাপার নিয়ে নয়। বরং ক্যামেরার পেছনে কী হয় তা নিয়ে। সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা সিড মিঠাই ওরফে আদৃত রায় (Adrit Roy) এবং সৌমিতৃষা কুণ্ডুর (Soumitrisha Kundu) মনোমালিন্য এখন দর্শকদের গসিপের হট টপিক। বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি কথা বন্ধ রয়েছে দুজনের।
আসলে প্রিয় সিরিয়াল হওয়ার দরুন সিড মিঠাইও দর্শকদের ঘরের লোক হয়ে উঠেছে। আদৃত ও সৌমিতৃষাকে বাস্তবেও একসঙ্গে দেখার জন্য আকুল ভক্তরা। কিন্তু গুঞ্জন বলছে অন্য কথা। বাস্তবে উচ্ছেবাবু নাকি তাঁর অনস্ক্রিন দিদিয়া কৌশাম্বী চক্রবর্তীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
সম্প্রতি কৌশাম্বীকে নিয়ে বিশেষ ঘোষনাও সেরেছেন আদৃত। আর তারপর থেকেই নাকি সৌমিতৃষার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে অভিনেতার। আদৃতের জন্মদিনে দুজনের ছাড়া ছাড়া ভাব কারোরই নজর এড়ায়নি। আদৃতকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাও জানাননি সৌমিতৃষা। এমনকি কেক কাটার সময়েও উচ্ছেবাবুকে রীতিমতো সাধাসাধি করতে হয়েছে মিঠাইকে কেক খাওয়ানোর জন্য।
শুধু আদৃত নয়। এখন কৌশাম্বীর সঙ্গেও নাকি বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে সৌমিতৃষার। একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি আদৃতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বা মনোমালিন্যের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন সৌমিতৃষা। এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই এসব রটনা তিনি শুনে আসছেন। কিন্তু কোনোদিনই কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
কারণ তিনি নিজে জানেন তিনি কেমন। নিজে যদি ঠিক থাকেন, তবে তাঁর মনে হয় না আলাদা করে পোস্ট করে কাউকে কোনো কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে। বাকি যা যা রটনা হচ্ছে সময় সেসবের উত্তর দেবে, স্পষ্ট কথা সৌমিতৃষার।
তাহলে কি আদৃতের সঙ্গে সত্যিই কথা বন্ধ অভিনেত্রীর? মিঠাইয়ের চটজলদি উত্তর, যদি কথা বন্ধ হয়েও থাকে তার প্রভাব কি পর্দায় পড়ছে? তা তো পড়ছে না। তবে সমস্যা কীসের? সঙ্গে তিনি আরো বলেন, অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও তো ক্যামেরার পেছনে একটা জীবন রয়েছে। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন। যদি সেখানে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলবে না। আর যদি না হয়ে থাকে তাহলেও ফেলবে না।
বয়সে অনেকটা বড় হওয়া সত্ত্বেও আদৃত প্রথম থেকেগ তাঁর খুব ভাল বন্ধু বলে জানান সৌমিতৃষা। বন্ধুদের মধ্যে মান অভিমান হয়েই থাকে। আর তাঁদের মধ্যে তো প্রায়ই ঝগড়া হয়। আবার দু তিন দিন পর সেটা মিটেও যায়। তাই এ নিয়ে বেশি আলোচনার দরকার আছে বলে মনে করেন না মিঠাই।