বাবা মা-ই সন্তানের সবথেকে ভাল চাইবেন, পল্লবী মৃত‍্যু ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallabi Dey) মৃত‍্যু রহস‍্য নিয়ে তোলপাড় টেলি ইন্ডাস্ট্রি। সফল, জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর মাত্র ২৫ বছরেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ কী? আপাতত সেই উত্তরই খুঁজছে সকলে। নেপথ‍্যে বিভিন্ন তত্ত্ব উঠে আসছে। পল্লবীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর দাবি, অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। অন‍্যদিকে সাগ্নিক ও তাঁর প্রেমিকার বিরুদ্ধেই মেয়েকে খুনের অভিযোগ এনেছেন পল্লবীর বাবা মা।

ইতিমধ‍্যেই পল্লবী মৃত‍্যু রহস‍্য নিয়ে মুখ খুলেছেন টেলিভিশন দুনিয়ার একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী। প্রায় সকলেই বলেছেন, আত্মহত‍্যা করার মতো মেয়ে ছিলেন তিনি। এবার এই মুহূর্তের সবথেকে চর্চিত বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)।


এখন বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ‍্যে একজন সৌমিতৃষা। মাত্র ২২ বছর বয়সেই আকাশ ছোঁয়া সাফল‍্য পেয়েছেন ‘মিঠাই’। যদিও বয়সের দিক থেকে তিনি যে অনেকটাই পরিণত তা বোঝা যায় তাঁর সোশ‍্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি থেকেই।

পল্লবীর মর্মান্তিক মৃত‍্যুর ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে সংবাদ মাধ‍্যমকে সৌমিতৃষা জানান, এখনকার প্রজন্মের সবথেকে বড় সমস‍্যা হল তারা সবকিছুতেই বড্ড তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দেয়। কোনো সমস‍্যা হলে সবার প্রথমে নিজের বাড়ির লোক, বাবা মাকেই সেটা খুলে বলা উচিত বলে মনে করেন সৌমিতৃষা।

তিনি নিজে বরাবর পরিবারকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রিয় বন্ধুবান্ধব কম নেই মিঠাইয়ের। কিন্তু বাবা মায়ের স্থান তাঁর মনে কোথায় সেটা বারংবার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পেয়েছে। সৌমিতৃষা আরো বলেন, নিজের পরিবারের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটানো উচিত। দিনের শেষে নিজের বাবা মা-ই তো সবথেকে বেশি আপন হয়।

পল্লবীর বাবা মায়ের অভিযোগে তাঁর লিভ ইন সঙ্গী এখন পুলিসি হেফাজতে। ঠারেঠোরে এখনো পল্লবীর লিভ ইন করার বিষয়টাকে আপত্তির নজরে দেখছেন অনেকে। কিন্তু সৌমিতৃষার মতে, লিভ ইন যদি করতেই হয় তবে সঙ্গীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে কোনো সমস‍্যা হলে সেটা বাবা মাকে জানানো উচিত।


প্রসঙ্গত, সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে পল্লবীকে খুনের অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রীর বাবা মা। তাঁদের আরো অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে অভিনেত্রীর থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন সাগ্নিক। সেসবের প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছেন বলে জানান পল্লবীর বাবা মা। আপাতত পুলিসি হেফাজতে রয়েছেন সাগ্নিক।

X