বাংলাহান্ট ডেস্ক: সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu) নামটার সঙ্গে এখন সিরিয়ালপ্রেমী মাত্রেই বেশ পরিচিত। এখন অবশ্য তাঁর আরেকটি নাম হয়েছে। ‘মিঠাই’ নামেই দর্শক মহলে জনপ্রিয় তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় জগতে থাকলেও জি বাংলার মিঠাই তাঁকে খ্যাতির চূড়ায় তুলেছে। বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে জনপ্রিয়তম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন তিনি।
মাত্র ২২ বছর বয়সে যে সাফল্য সৌমিতৃষা পেয়েছেন তা সত্যিই চমকপ্রদ। সবটা নিজের যোগ্যতা এবং পরিশ্রম দিয়েই পেয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এত কম বয়সে এই পরিমাণ জনপ্রিয়তা, ঐশ্বর্য পেয়েও মাটির কাছাকাছিই রয়েছেন সৌমিতৃষা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁর কথাবার্তা শুনেই সেটা বোঝা যায়। এমনকি যে অনুরাগীরা প্রতিদিন মিঠাইয়ের সেটের বাইরে ভিড় জমান তারাও জানিয়েছেন সৌমিতৃষার মিষ্টি ব্যবহারের কথা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কে বেশ কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি। প্রথম পারিশ্রমিক হাতে পেয়ে কী করেছিলেন সেটাও জানিয়েছেন মিঠাই। না, নিজের জন্য কিছু কেনেননি তিনি। বরং বাবা, মা পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার কিনেছিলেন সৌমিতৃষা।
তবে তিনি অকপটে জানান, এখনো কিছু দরকার হলে বাবার কাছেই চান তিনি। নিজের পারিশ্রমিক দিয়ে শুধু বাবা মায়ের জন্য উপহার কেনেন তিনি। তবে ছোট থেকেই খুব দুষ্টু ছিলেন সৌমিতৃষা। মাকে লুকিয়ে বিড়াল ছানা বাড়িতে আনতে গিয়েও ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। এমনকি ছোট থেকেই নাকি হঠাৎ হঠাৎ পড়ে গিয়ে আঘাত লাগিয়ে বসতেন তিনি।
সৌমিতৃষার কোমর ছাপানো লম্বা চুল অনেকেরই ঈর্ষার কারণ। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, ছোটবেলায় বয়েজ কাট চুল ছিল তাঁর। ক্লাস ফোরে ওঠার আগে পর্যন্ত স্কুলে ছেলেদের সঙ্গে তুমুল মারপিট করতেন। তবে বাবা মা কড়া হওয়ার কারণে কোনোদিন স্কুল থেকে পালাতেও পারেননি আর প্রেমও করা হয়ে ওঠেনি তাঁর।
তবে প্রেম প্রস্তাব কম পাননি সৌমিতৃষা। স্কুলে থাকতে চিরকুটে প্রেম নিবেদন ব্যাপারটা বেশ মজার লেগেছিল তাঁর। পরবর্তীকালে এক হবু চিকিৎসকের কাছ থেকেও প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৌমিতৃষা।