বাংলাহান্ট- প্রথমে সাংসদ হিসেবে তিনি যে বিষ্ণুপুরের বাদশা তা ফল বেড়ানোর পর বোঝা গেছে, কারণ তৃণমূলের সাংসদ থাকাকালীন তিনি এলাকার বাইরে কাজ করতে পারতেন না, কাজ করতে গেলে তাকে বিভিন্ন উপায়ে কন্ঠরোধ করা চেষ্টা করা হতো। এই দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে অবশেষে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখালেন সৌমিত্র খাঁ।
তারপরেই তার নামে একাধিক অভিযোগ ওঠে, ফলে কোর্টের রায়ে তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভা প্রচার করতে পারলেন না কিন্তু মানুষের ভালোবাসা তাকে এগিয়ে চলার পথ মসৃণ করে করেছে, প্রায় ৯০ হাজার ভোটে জয় লাভ করে।
তিনি বিষ্ণুপুরের শেষ কথা তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। এর ফলে বিজেপি নেতৃত্ব যথেষ্ট আশাবাদী তরুণ তুর্কি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তাকে নিয়ে তিন তিনটে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলো। এসটি, ওবিসি কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলো, এছাড়া পরিবহন ও ট্যুরিজম এর উপরে পার্লামেন্টারি কমিটি একাধিক দায়িত্ব সৌমিত্র উপরে।
গত দুদিন ধরে আসামের গৌহাটিতে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং চলছে। সেখানে সৌমিত্র খাঁ কে আসাম উপাধি দেওয়া হয় এবং আগামী দিন কিভাবে ভারতজুঁড়ে এসটি ওবিসি ছেলেমেয়েরা কাজ করবেন, তাদের কর্মসংস্থান কি হবে তাদের পথ নির্দেশ করা হয় এবং সেই নিয়ে বিস্তর মিটিং হয়।
সেখানে সৌমিত্র খাঁ ভূয়সী প্রশংসা করেন অন্য রাজ্যের সাংসদরা, এসসি ওবেসি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন পৃথিবীর সবথেকে বড় পার্টি ভারতীয় জনতা পার্টিতে এসে তিনি ধন্যমনে করছেন। তিনি মানুষের সেবার জন্য কাজ করতে চান এবং তাকে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাজ্য কমিটি যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব তিনি প্রত্যেক মুহূর্তে পালন করবেন। এছাড়া তিনি আরও বলেন বাংলায় এসটি ওবিসি দের যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাঠানো হয় তা পূর্ণাঙ্গ খরচ হয় না। আমি এই বিষয়ে আগামীদিন লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জানাবো, যাতে বাংলার ছেলে মেয়েরা যে বিপুল অঙ্কের টাকা আসে তাদের উন্নয়নে ব্যবহার করার জন্য।তা সঠিক ভাবে ব্যাবহার না হওয়ার ফলে বঞ্চিত হয় বাংলা এসটি ওবিসি ছেলেমেয়েরা। সারা ভারতে যখন এসটি ওবিসি নিয়ে উন্নয়নের রুপরেখা তৈরি হচ্ছে। সেই সময় বাংলায় একাধিক ইস্যু নিয়ে কটাক্ষ করলেন।
সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আসামে এনআরসি ইস্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ, বাঙালি খাদান করা হচ্ছে বলে যেভাবে তৃণমূল প্রচার করছেন। তাকে কার্যত জল ঢেলে সৌমিত্র খাঁ বলেন এনআরসি প্রথম সরব হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি অধ্যক্ষকে এনআরসির কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিল কিন্তু আজ তিনি এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করছে। এনআরসি তে কোন হিন্দু শরণার্থী, বৌদ্ধ শরণার্থী, খ্রিস্টান শরণার্থী বাইরে যাবে না। আমরা শুধু বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত মুসলিমরা এসে ভারতবর্ষের অবৈদ্ধ ভাবে বাসকরছে সেই মুসলিমদের ভারত থেকে বার করবো এবং সারা পৃথিবীতে এনআরসি এই পরিকাঠামো চলে, তাহলে ভারতবর্ষে কেন হবেনা। আসামে গিয়ে তিনি বাংলার বিভিন্ন বিষয়ে চিত্র তুলে ধরেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটিরতে বলেন আগামীদিন বাংলা এসসি ওবেসি ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন রকম উন্নয়নমূলক কাজ পাবে বলে দাবি করেছেন সাংসদ।
এখন দেখার বিষয় ২০২১এর বিধানসভা ভোটের আগে কোনরকম ইতিবাচক ভূমিকা নেয় কিনা কেন্দ্রীয় সরকার, কারণ বাংলায় বড় অংশ এসটি ওবিসি ভোটের নিয়ন্ত্রক ভূমিকা পালন।