বাংলাহান্ট-দুইদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের নানুর। তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয় দুই বিজেপি কর্মী।
একজনকে প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তার ছেলেকে কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয় কিন্তু পরিবার মর্গ থেকে মৃতদেহ নিয়ে বিজেপি রাজ্য দপ্তর যাওয়ার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করে, সেইমতো বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয় বীরভূমের নানুর এ যে বিজেপি কর্মী মারা গেছে তার দেহ বিজেপি রাজ্য দপ্তরের আসবে এবং তাকে মাল্যদান করবে বিজেপি নেতারা।
সব ঠিক ছিল কিন্তু গতকাল রাত্রে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে বীরভূমের নানুর বাড়িতে চলে আসে।
তার অনুমতিতে নিয়ে আসা হলো, কি কারণে পরিবারের কোন লিখিত অভিযোগ ছাড়াই মৃতদেহ বাড়ি পথে রহনা দিলো তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। সূত্রের দাবি তারা কোনরকম অনুমতি দেয়নি মৃতদেহ ছাড়ার ব্যাপারে। তারা ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছে বলে পরিবার জানিয়েছে। আজ বীরভূমের নানুর বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি নেতারা। বোলপুর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার নেতৃত্বে একাধিক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হয়। তাদের দাবি করে কি করে মৃতদেহ কে নিয়ে এলো পুলিশ।
এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, তিনি তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন এবং রাজ্য পুলিশ এবং তৃণমূল সরকার এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
এর ও প্রতিবাদ জানান, রাস্তায় বসে তিনি অবস্থান বিক্ষোভ করেন। তিনি আরো জানান যেভাবে তৃণমূল এই নির্মমভাবে বিজেপি কর্মীকে হত্যা করল তার জবাব দিতে হবে এবং এর জন্য দরকার পড়লে সিবিআই তদন্ত দাবি করবেন। ইতিমধ্যে পরিবার কাছে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করা হয় এবং দোষীদের অবিলম্বে যাতে শাস্তি হয় তার জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের উপর নজর রাখতে বলেন।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জির সরকার যেভাবে একের পর এক বিজেপি কর্মীদের হত্যা করছে, যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে অর্থাৎ ২১ এর বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল বিদায় নিয়ছে। তাই তারা খুনের রাজনীতি বেছে নিয়েছে বলে দাবী করেন সৌমিত্র খাঁ। আগামীদিন বাংলায় বিজেপি একাধিক সংগঠন সৌমিত্র খাঁ নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানাবে বলে জানা গেছে।
Made in India