বাংলা হান্ট ডেস্ক : অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর সাথে প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের পর বিগত বেশ কয়েক বছর সিঙ্গেলই ছিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অবশেষে এল একাকীত্ব ঘোচার পালা। অভিনেতা পরিচালক সৌরভের সাথে ডিভোর্সের পর মধুমিতার (Madhumita Sarcar) জীবনে এসেছেন নতুন মানুষ।
মধুমিতার (Madhumita Sarcar) ‘নতুন প্রেম’ নিয়ে সৌরভের কি প্রতিক্রিয়া?
বিচ্ছেদের পর পুরোপুরি সিঙ্গেল থাকার কথা জানিয়ে মধুমিতা (Madhumita Sarcar) বলেছিলেন যদি ভবিষ্যতে কোনদিন কোন সম্পর্কে জড়ান তবে সেই খবর তিনি নিজেই সেই খবর অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নেবেন। প্রতিশ্রুতি মতোই জীবনে নতুন মানুষ আসতেই সেই খবর সপ্তমীতেই জানিয়েছেন মধুমিতা। উৎসবের মরশুমে নতুন প্রেমিকের সাথে ছবি দিয়ে সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
এছাড়াও টিভি নাইন বাংলায় সম্পর্কের বিষয়ে অকপটে মধুমিতা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘হ্যাঁ এটা ঠিক আমি প্রেমে পড়েছি। জীবনে নতুন মানুষ এসেছেন। তবে পুজোর মধ্যে প্রেমের কাহিনি বলতে চাই না। তবে হ্যাঁ, আমরা ভাল আছি।’
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে সানন্দা টিভিতে সম্প্রচারিত নতুন বাংলা সিরিয়াল ‘সবিনয় নিবেদন’ ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথম পরিচয় হয়েছিল সৌরভ-মধুমিতার। সেখান থেকেই তাঁদের এই সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। ২০১৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সৌরভকে বিয়ে করে নেন মধুমিতা। যদিও সুখের হয়নি তাঁদের এই দাম্পত্য জীবন।
আরও পড়ুন : মা ডাকতেই ইচ্ছা করে না! সোনার মনের ঘৃণা কীভাবে ভালোবাসায় পরিণত করবে দীপা?
মাত্র চার বছরের মাথায় ২০১৯ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় সৌরভ-মধুমিতার। এরপর আর একসাথে কাজ করতে দেখা যায়নি এই জুটিকে। এবার অতীত ভুলে নতুন জীবন শুরুর দিকে পা বাড়িয়েছেন অভিনেত্রী। তবে প্রাক্তনের জীবনে নতুন মানুষের আগমনে কি প্রতিক্রিয়া অভিনেতা পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর?
এ প্রসঙ্গে এদিন টিভি নাইন বাংলার তরফে জানতে চাওয়া হলে সৌরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি আসলে এই নিয়ে কোনো রকম মন্তব্যই করতে চাই না’। তবে সম্পর্কে না থাকলেও কিংবা মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গেলেও একে অপরের প্রতি তাদের যে কোন তিক্ততা রয়েছে তা কিন্তু নয়। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর দুজনের মধ্যে যোগাযোগ না থাকলেও কোন তিক্ততা নেই তাঁদের। তবে অনুরাগীদের মধুমিতার জীবনের এই নতুন মনের মানুষ সম্পর্কে জানার কৌতুহলই সবচেয়ে বেশি। সূত্রের খবর মধুমিতার জীবনের এই নতুন মনের মানুষটি অভিনয় জগতের অংশ নন, তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার।