বাংলাহান্ট ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বারবার প্রমাণ করে দেন, দাদা একমাত্র তিনিই। তাঁর উপরে ‘দাদাগিরি’ করার সাহস বা ক্ষমতা কারোর নেই। বাইশ গজ হোক কিংবা দাদাগিরির সেট, তিনি এখনো মহারাজ। এর আগে সৌরভকে গুগলি দিতে গিয়ে অপ্রস্তুত হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর এবারে অভিনেত্রী মানসী সিনহাকে (Manasi Sinha) ঘোল খাওয়ালেন সৌরভ।
সৌরভ ও মানসীর মধ্যে সম্পর্কটা যে বেশ ঘনিষ্ঠ তা বোঝা গিয়েছে শনিবারের পর্বেই। দিব্যি তুইতোকারি করে গল্প জুড়ে দিলেন তিনি দাদার সঙ্গে। ‘দিদি’ মানসীর যে বেশ ভক্ত সৌরভ তা বোঝা গেল তাঁর কথাবার্তাতেও। গোটা পর্ব জুড়েই খুনসুটি করে সেট মাতিয়ে রাখলেন দুজনে।
এদিন ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালের ছয় জন অভিনেতা অভিনেত্রী খেলতে এসেছিলেন দাদাগিরি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মানসীও। তিনি এসেই সৌরভের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ করে বসলেন। মহারাজের জন্যই তাঁর বুটিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সৌরভ নাকি দুষ্টুমি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন যে, মানসী নিজের পরা পুরনো শাড়িগুলিই বুটিকে বিক্রি করেন।
সঙ্গে সঙ্গে সৌরভ ভালো ছেলের মতো প্রতিবাদ করে ওঠেন, এমনটা তিনি করতেই পারেন না! হাসি মজা চলতে চলতেই সৌরভকে একটি প্যাঁচালো প্রশ্ন করেন মানসী। কর্মজীবনে বিভিন্ন কারণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সৌরভ।
মানসীর চ্যালেঞ্জ, এই দুজনের মধ্যে ফারাকটা কী সেটা বলতে হবে সৌরভকে। এড়িয়ে গেলে চলবে না। দিদির প্রশ্ন শুনে হেলে পড়ার অবস্থা সৌরভের! কিন্তু অভিনেত্রীও তো ছাড়বেন না। শেষে সৌরভ উত্তর দিলেন, “একজন নারী অন্যজন পুরুষ, এটাই ফারাক।”
মহারাজের উত্তর শুনে হাসি আর হাততালির বন্যা দাদাগিরির মঞ্চে। কিন্তু মানসীর দাবি, তাঁর প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন সৌরভ। সঙ্গে সঙ্গে সুবোধ বালকের মতো দাদা বলেন, “তুমি আমাকে প্রশ্ন করেছো, আমি উত্তর দিলাম।”
দাদাগিরিতে এসে আরো এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন মানসী। সৌরভকে দাদা না বলে সরাসরি কাকা বলে বসেন তিনি! সম্বোধন শুনেই চোখ কপালে সৌরভের। বেশ কাঁচুমাচু হয়েই তিনি বলে ওঠেন, “এমনিতেই প্রতি বছর হু হু করে বয়স বেড়ে যাচ্ছে। তার উপরে দিদি এখানে এসে কাকা বলছে!” হাসতে হাসতে মানসী বলেন, ওটা উত্তেজনার বশে মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে।