বাংলাহান্ট ডেস্ক: খেলার মাঠে এবং রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ‘দাদাগিরি’ (Dadagiri) করলেও বাড়িতে স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ই (Dona Ganguly) ‘ম্যাডাম’। ক্যামেরার সামনে এই নামেই স্ত্রীকে ডাকেন ‘দাদা’। প্রায় প্রতিটি পর্বেই কোনো না কোনো ঘটনায় ডোনার নাম উঠে আসে সৌরভের মুখে। আর দর্শকরাও খুব পছন্দ করেন দুজনের প্রেমকাহিনির স্মৃতিচারণা।
সৌরভ ডোনার প্রেমের গল্প দিয়ে অনায়াসে সিনেমা বানিয়ে দেওয়া যায়। ডোনা সৌরভের ‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি’র প্রেম। অনেক কম বয়সে হয়েছিল দুজনের মন দেওয়া নেওয়া। তারপর নাটকীয় বিয়ে। আর এখন মেয়ে সানাকে নিয়ে সুখের সংসার দুজনের।
একেবারে সামনের বাড়ির মেয়ে হলেও প্রেমটা কিন্তু সহজ ছিল না সৌরভ ডোনার। দুই পরিবারের মধ্যেই ছিল ঘোর শত্রুতা। আর তাদের বাড়ির মেয়ের সঙ্গেই প্রেম করার জন্য বহুবার মারধোরও খেতে হয়েছে সৌরভকে। ছোটবেলার সেসব স্মৃতি প্রায়ই দাদাগিরির মঞ্চে শেয়ার করেন তিনি।
রবিবারের পর্বে তেমনি একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। তবে তা জানালেন অভিনেত্রী স্বাগতা বসু। এদিন তারকার হাট বসেছিল দাদাগিরির মঞ্চে। স্বাগতা বসু ছাড়াও এসেছিলেন সৌমিত্র রায়, মধুমন্তি মৈত্র, চৈতালি দাশগুপ্তের মতো গুণী ব্যক্তিরা।
কথায় কথায় স্বাগতা জানান, তিনি ওড়িশি নাচ শিখেছেন। একটি পুরনো ছবি শেয়ার করতে দেখা যায় সেখানে সৌরভ জায়া ডোনাও রয়েছেন। দাদা তো দেখে অবাক। এ প্রসঙ্গেই অভিনেত্রী জানান এক মজার ঘটনা। সৌরভের বোন ববি একবার তাঁদের জানিয়েছিলেন, “জেঠু মহারাজদাকে ব্যাট দিয়ে মেরেছে”।
মারার কারণ কী তা জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানিয়েছিলেন, ডোনা আর সৌরভ লুকিয়ে প্রেম করছিলেন। সেটাই জানতে পেরে যান সৌরভের বাবা। তারপরেই মার। শুনেই বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের উত্তর, “কী আর করব বাড়িতে ঢুকতে দিত না যে!”
শুধু তাই নয়। এদিনের পর্বে সৌরভ আরো জানান, তিনি বাড়িতে শুক্তো রাঁধেন আর ডোনা সেটা খান। আসলে টস রাউন্ডের উত্তরের জন্য একটি সূত্রে বলা হয়েছিল, শুক্তো রান্নার জন্য ব্যবহার হয়। তখনি কেউ বড়ি, কেউ মিষ্টি আলু, কেউ মূলো বলে ওঠেন। সৌরভ প্রশ্ন করেন, “শুক্তোতে কেউ মূলো দেয়? আমি করলাম দিলাম না তো!” দাদার কথায় হেসেই ফেলেছেন সকলে।