বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২ বছর, ৯ মাস, ১৬ দিন, আরো সহজ করে বলতে গেলে ১০২০ দিন। অপেক্ষা করতে করতে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বিরাট কোহলির ভক্তরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। অবশেষে শতরান পেয়েছেন বিরাট কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী মুখে এখন একটাই কথা। সেটা হলো, “দ্য কিং ইজ ব্যাক”।
কাল শুরুতে ধীরস্থির ভঙ্গিতে খেললেও পরের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন বিরাট। ৪০ বলে ৫৯ রান করার পর পরের ২১ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। আফগানিস্থানের হয়ে যারা গত কয়েকদিনে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন তাদেরকে নিয়েই রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন কোহলি।
আর এরপর বিরাট কোহলি ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেছেন বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এক বছর আগে বিরাট কোহলির সঙ্গে তার কিছুটা ঠান্ডা লড়াই প্রত্যক্ষ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিজে থেকে ছাড়ার পর তাকে ওয়ানবডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। অনেকেই মনে করেছিলেন এর পেছনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে।
সৌরভ পরবর্তীতে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে তিনি যখন জানতে পেরেছিলেন যে বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চাইছে তখন তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিরাট কোহলি কে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে উড়ে যাওয়ার আগে বিরাট কোহলি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি যখন এই সিদ্ধান্ত সকলকে জানিয়েছিলেন, তখন কেউই তার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানায়নি। বরং সকলেই সেই সিদ্ধান্ত সহজভাবে গ্রহণ করেছিল। এরপর থেকেই সৌরভ বিরাটের ঠান্ডা লড়াই নিয়ে নানান তত্ত্ব উঠে আসতে থাকে। এরপর বিরাট কোহলি নিজেই টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। তাল তিনি শতরান করার পর বিরাট কোহলির ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভ গাঙ্গুলীকে নানান ভাবে আক্রমণ করে বলেছেন যে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়ে ছিলেন তার লজ্জা পাওয়া দরকার কিন্তু এভাবে বিরাটের মত ক্রিকেটারকে আটকে রাখা যায় না।
বিরাট কোহলি অবশ্য যথেষ্টই সংযত তার এই শতরানের পর। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি ভাবতে পারেননি এই ফরম্যাটে তিনি শতরান পাবেন। সেইসঙ্গে বিরাট কোহলি এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন এবার থেকে দলের তাকে যেরকম ভাবে প্রয়োজন সেই রকম ভাবেই ব্যাটিং করার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠেছেন তিনি। ভারতের মূল লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় এবং সেই দিকেই পুরোপুরি ফোকাস রাখছেন বিরাট।