আর জি করের ঘটনাটি (R G Kar Case) নিয়ে বর্তমানে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। দোসর রাজ্য রাজনীতিও। ইতিমধ্যেই ধরা হয়েছে ধৃত সঞ্জয় রায়কে। তিনি নিজের দোষও স্বীকার করেছেন। তবে, জনগণের মতে এই ঘৃণ্য কাজটি তাঁর একার নয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন আরও অনেকে। পুলিশের তরফ থেকে আগেই জানা গিয়েছিল ভোর চারটের দিকে এই ঘটনাটি (R G Kar Case) ঘটেছিল। পুলিশ জানিয়েছে একটানা কাজের ফলে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন ৩১ এর মৌমিতা। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই ঘটে এই ঘটনা।
সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪৫ মিনিট সেমিনার হলে ছিলেন সঞ্জয়। তারপরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি। মৌমিতার মৃতদেহের পাশে তাঁরই হেডফোন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশের অনুমান মৃত্যুর পরেও তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। সেখানে একজন ইন্টার্ন ও একজন পিজিটির কথপোকথন শোনা যায়। তবে তাঁরা করা জানা যায়নি।
আর জি করের ঘটনাটি (R G Kar Case) নিয়ে বর্তমানে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ
সেখানে বলতে শোনা যায়, এই নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। হতে পারে তিনি আর জি করেরই কর্তৃপক্ষের কেউ। তবে এ বিষয়ে এখনও জানা যায়নি কিছু। ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে দোষীর ফাঁসি চেয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। মৌমিতার হয়ে বিচার চাইতে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীরা। হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভে বসেছে তাঁরা। এমতাবস্থায় এই নৃশংস ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে সৌরভ বলেন, ‘এটি খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই ঘটনাটি সত্যিই ভয়ানক। ঘটনাচক্রে এটি হাসপালে ঘটেছে। কিন্তু এইরকম ঘটনা যেখানে সেখানে ঘটতে পারে। তাই আরও নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে শহরে। সিসিটিভি ক্যামেরায় দরকার আছে। এটি খুব ভুল। খুবই ভুল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ঠিক নয়। পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতে নিরাপত্তা রয়েছে। তবে সেটির দিকে আরও কড়া নজর দিতে হবে। এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাই।’