বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে এর আগেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে দাদাকে। তাই এবার সমস্যা তৈরি হবার আগেই সরে দাঁড়ালেন সৌরভ। জানিয়ে রাখি, আইপিএলে দুটি নতুন দল সংযোজিত হবার পর ফের একবার নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষত ৫৬২৫ কোটি টাকায় সিভিসি ক্যাপিটালস আমেদাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার পরেই এই বিতর্কে নতুন মোড় নিয়েছে। প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদি এই কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছেন।
ললিত মোদির অভিযোগ, CVC ক্যাপিটাল স্কাই বেটিং-এর ৮০ শতাংশের মালিক৷ এমন একটি কোম্পানি যারা বেটিংয়ের সাথে যুক্ত, তারা কিভাবে একটি আইপিএল দলের মালিকানা পায় তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার অভিযোগ বিসিসিআই কি কোনও হোমওয়ার্ক করে নি? ললিত মোদী বলেন, “যদি একটি দলের মালিকও একটি বেটিং কোম্পানির মালিক হন, তাহলে এটি ভারতে বেটিং প্রচারকারীদের অনুমতি না দেওয়ার উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে।” শুধু তাই নয়, অন্যদিকে তার দাবি এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের এই মালিকদের অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত এবং এরপর সর্বোচ্চ বিড করা কোম্পানিকে দলের দায়িত্ব প্রদান করা উচিত।
এবার আসা যাক সৌরভ গাঙ্গুলী প্রসঙ্গে। আইপিএলে এবার যেমন আমেদাবাদ দলটি কিনেছে সিভিসি ক্যাপিটালস, তেমনি লখনৌ দলের মালিকানা পেয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার RPSG ভেঞ্চার প্রাইভেট লিমিটেড। ৭০৯০ কোটি টাকা দিয়ে এবার নতুন করে এই দলটি কিনেছে আরপিএসজি গ্রুপ। অন্যদিকে আইএসএলের সাথেও যুক্ত তারা। আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের মালিকানা রয়েছে তাদেরই দখলে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই ক্লাব এটিকে মোহনবাগানের পরিচালক পদে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
তাই এই দিয়ে তৈরি হতেই পারত স্বার্থের সংঘাত। আর এই কারনেই বুধবার তিনি ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, “আমি এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।” জানিয়ে রাখি এটিকে মোহনবাগান ফুটবল ক্লাবের ওয়েবসাইটে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সাথে সাথেই নাম ছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর। কিন্তু এখন গোয়েঙ্কারা সরাসরি আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় স্বার্থের সংঘাতের মুখে পড়তে হতো বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীকে। সেই সমস্যা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাদা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।