বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরের মতো এই বছরও আসন্ন মরশুম শুরুর আগে স্পন্সর সমস্যায় জেরবার লেসলি ক্লডিয়াস সরণি। তারমধ্যেই আচমকা ময়দানে গুজব শোনা গেল যে প্রাক্তন এটিকে কর্তা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করার কাজে সাহায্য করবেন। এই সম্ভাবনা আরও জোড়ালো হয়েছে যখন মঙ্গলবার বিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই শীর্ষকর্তা। তাদের মধ্যে একই জায়গার বাসিন্দা হওয়ার কারণে সদানন্দ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের খুবই ভালো সম্পর্ক
অপর জন হলেন বিখ্যাত (কিছু লাল-হলুদ ভক্তদের কাছে কুখ্যাত) দেবব্রত সরকার, যাকে কলকাতা ময়দান নিতু নামেই চেনে। সৌরভের সঙ্গে এমনিতে তার কোনও সম্পর্ক না থাকলেও তার নিবেদনগুলি মন দিয়ে শুনেছেন সৌরভ। দীর্ঘদিন পরে সিএবি পরিদর্শনে এসেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আইপিএলের পঞ্চদশ তম মরশুমে একটি কোয়ালিফায়ার ও একটি এলিমিনেটর ম্যাচ হবে ২৪ এবং ২৫শে মে। সেই জন্য ইডেনের ব্যবস্থাপনা দেখেতে এসেছিলেন সৌরভ। সেই সুযোগটাই কাজে লাগান লাল-হলুদ কর্তারা।
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সাথে ক্লাব হাউসের তিন তলায় আলোচনায় বসেছিলেন সৌরভ। বাংলাদেশের বসুন্ধরা ইনভেস্টর গোষ্ঠীর সঙ্গে লাল হলুদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিটি সম্পূর্ণ হওয়ার পথে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে। সেই নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অনুমোদনও দরকার। বসুন্ধরা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী সবুজ সংকেত দিলে ইস্টবেঙ্গলকে স্পন্সর করতে কোনও সমস্যা নেই তাদের।
বাংলাদেশের সঙ্গে সৌরভের সম্পর্কের ভিত বেশ শক্ত। নিজে যখন খেলতেন তখন থেকেই বাংলাদেশে সৌরভের বিপুল জনপ্রিয়তা। তাই তার হাত ধরে সহজে কাজটি সারতে চান লাল হলুদ কর্তারা। সকলেই সৌরভের ফুটবল প্রীতির কথা জানেন, তার পক্ষে কিছু করা সম্ভব হলে যে তিনি না করবেন না এই বিষয়ে তা অতীতেও দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে লাল হলুদ কর্তাদের প্রয়োজনে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মহারাজ।