বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে নিজেদের সংবিধান সংশোধন করার অনুমতি দিয়েছিল। ওই মুহূর্তে অনেকেই ভেবেছিলেন যে বিসিসিআইতে এইমুহূর্তে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি অধিকার করে আছেন, তারা নিজেদের মেয়াদ আরও। বাড়িয়ে নেবেন। তবে, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিসিসিআইয়ের বেশিরভাগ শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দুটি বৈঠকের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত বলা হয় যে সৌরভ বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসাবে মেয়াদ বাড়াতে চাইবেন না।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ওই বৈঠকে, বর্তমান পদাধিকারীরা ছাড়াও, সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এবং বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন সহ বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। আরও জানা গিয়েছে যে প্রথম বৈঠকটি নয়াদিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় বৈঠকটি ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতার বাসভবনে হয়েছিল।
এই বৈঠকে যাবতীয় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হিসাবে উঠে আসে যে যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নিজের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বিসিসিআই থেকে বিদায় নেবেন। এরমধ্যে বর্তমান সচিব জয় শাহ নিজের পদে বজায় থাকবেন এবং একই পদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আয়োজিত হতে চলা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সকলেই এই ব্যাপারটা দেখে আশ্চর্য হবেন যে সৌরভ গাঙ্গুলি সরে যাওয়ার পরও জয় শাহ বিসিসিআইয়ের নতুন প্রধান হওয়ার চেষ্টা করছেন না।
এখন প্রশ্ন হলো যে যদি জয় শাহ নতুন বিসিসিআই সভাপতি না হন, তাহলে কে এই দায়িত্ব সামলাবার জন্য আবেদন করবেন। আপাতত সৌরভের জায়গা নেওয়ার জন্য দুটি নাম উঠে এসেছে। প্রথম প্রার্থী হলেন প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার এবং প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক রজার বিনি। এছাড়া আর দ্বিতীয় প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ এবং বর্তমান সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা।
দুজনেরই এর আগে বিসিসিআইয়ের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাদের একজনের বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আর অন্য একজন নতুন আইপিএল চেয়ারম্যান হতে পারে। সৌরভের এই পদ ছাড়ারও বড় কারণ রয়েছে। আগামী মাসে আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়সূচির সাথে, বিসিসিআই তার নিজস্ব একজনকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেতৃত্বে রাখতে চায়।