বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিসিসিআই সভাপতি, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক, এই পরিচিতিগুলির উর্দ্ধে উঠে সবার ‘দাদা’ হয়ে উঠেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (sourav ganguly)। ‘দাদাগিরি’তে তাঁকে একেবারে ঘরের ছেলে হিসাবেই পায় দর্শকরা। আট থেকে আশি, সমস্ত প্রতিযোগীদের সঙ্গেই অনায়াসে মিশে যান সৌরভ। তাঁদের আলটপকা প্রশ্নের উত্তরও দেন বুদ্ধি খাটিয়ে। কিন্তু গায়ক সিধু একটি পুরনো প্রসঙ্গ তুলতেই লজ্জায় লাল মহারাজ।
‘দাদাগিরি’তে মাঝে মাঝেই উঠে আসে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (dona ganguly) প্রসঙ্গ। সৌরভের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলী প্রতিযোগীরা নানান প্রশ্ন করেন দাদাকে। যথাসম্ভব উত্তরও দেন তিনি। আগামী শনিবার সৌরভের সঙ্গে খেলতে আসছেন সিধু, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, উজ্জয়িনীর মতো প্রতিযোগীরা। সেখানেই ডোনার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার পড়ে শোনান সিধু।
সৌরভ ডোনার প্রেম ও বিয়ের কথা তো কারোরই অজানা নয়। রীতিমতো ফিল্মি স্টাইলে বিয়ে করেছিলেন দুজন। কিন্তু বিয়ের রাতে স্ত্রীকে কী উপহার দিয়েছিলেন সৌরভ? তাও কিন্তু সিনেমার গল্পের থেকে কম কিছু নয়। এদিন ডোনার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনাবেন সিধু।
সৌরভ জায়া জানান, বিয়ের দিন রাতে তাঁর জন্য এক সারপ্রাইজ রেখেছিলেন মহারাজ। লর্ডসে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়ে একটি সোনার ব্রিটিশ মুদ্রা পেয়েছিলেন সৌরভ। সেটাকে একটি সোনার চেনের সঙ্গে জুড়ে সুন্দর ডিজাইন করে বিয়ের রাতে স্ত্রীর গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
পুরনো স্মৃতি মনে করাতেই মুখে লাজুক হাসি সৌরভের। বললেন, “পুনরুজ্জীবিত করছি সবটা। অনেক দিন হয়ে গেল তো!” মঞ্চে তখন হাততালির ধুম। কিশোর বয়সে ডোনার প্রেমে পড়েছিলেন সৌরভ। প্রতিবেশী হলেও দুই বাড়ির মধ্যে কিন্তু সখ্যতা একেবারেই ছিল না। আর সেই বাড়িরই মেয়ের প্রেমে পড়েন সৌরভ।
আর শুধু প্রেমে পড়া না। বাড়িতে লুকিয়ে ১৯৯৬ তে চুপিচুপি আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন দুজনে। পরে অবশ্য দুই বাড়িতেই সবটা ফাঁস হয়ে যায়। তারপর সামাজিক রীতি মেনে ধুমধাম করে বিয়ে হয় সৌরভ ডোনার।