বাংলা হান্ট ডেস্ক : একি কান্ড করল সিপিএম (Communist Party of India)! পরাজিত প্রার্থীদের ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন? তাও আবার এই কাজ করলেন ডাকসাইটে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakborty)! শুক্রবার এমনই এক অদ্ভুত দৃশ্যের দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ধপধপি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে পঞ্চায়েতে ১৮টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ১৭টি আসনেই দখল নিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)।
এরই মধ্যে একটিমাত্র আসন জিততে পেরেছে সিপিএম। শুক্রবার সেই ধপধপি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পরাজিত ১৬ জন সিপিএম প্রার্থীর গলায় ‘জয়ের মালা’ পরিয়ে দিলেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিএম নেতার বক্তব্য, ওই ১৬ জন বাম প্রার্থী পরাজিত নন, তাঁরা প্রত্যেকেই জিতেছেন।
গণনাকেন্দ্রে মারধর করে, কারচুপি করে তৃণমূল আসনগুলির দখল নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তীর।
এদিন বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী পরাজিত সিপিএম প্রার্থীদের গলায় রজনীগন্ধা ফুলের মালা পরিয়ে দেন। সুজনবাবু বলেন, ‘এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মানুষের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছে বামপন্থী কর্মীরা। ১৮টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে আমরা জিতেছি। এটা বিডিও, পুলিশ, গণনাকর্মী এমনকী তৃণমূলের যাঁরা জিতেছেন তাঁরাও জানেন। মারধর করে আমাদের এজেন্টদের গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেদিন নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছিলাম, গণনাকেন্দ্রে লুঠের বিষয়ে। যাঁরা হেরো, তাঁদের জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। ওই সার্টিফিকেটের কোনও মূল্য নেই।’
ওই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পরাজিত সিপিএম প্রার্থীদের দলের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় বাম কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিলও করেন সুজন চক্রবর্তী।
এদিকে বামেদের এই উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শাসক দলের বারুইপুর পশ্চিম ব্লকের সভাপতি গৌতম কুমার দাস বলেন, ‘সুজন চক্রবর্তীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বারুইপুর থেকে ভোটে হেরে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। এর জবাব আমরা ধপধপি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষকে নিয়ে রাজনৈতিকভাবেই দেব।’ যাই হোক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৩ সপ্তাহ পরেও বারুইপুর যে বেশ সরগরম বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।