বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। খাতায়-কলমে অনেক পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জিততে গিয়েও অবশ্য কালঘাম ছুটে গিয়েছিল বেঙ্গল টাইগার্সদের। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন সাকিবরা। কিন্তু ফের বড় দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ পড়তেই চলতি বছরের রীতি মেনে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ।
সিডনিতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল তারা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক তেম্বা বাভূমা। যদিও অধিনায়ক বাভূমা নিজে নিজের অফ ফরমেট ধারা অব্যাহত রেখেছেন এই ম্যাচেও। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নায়ক হওয়া তাসকিন আহমেদের বলে মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি।
তবে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ঝুলিতে ছিল শুধু এইটুকুই আনন্দ। এরপর শুধুমাত্র ব্যাটিং তান্ডব। অপর ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং ৩ নম্বরে নামা রিলি রসৌয়ের তান্ডবে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ বোলার। গত ম্যাচে বৃষ্টির কারণে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই আফসোস আজ যেন সুদে-আসলে মিটিয়ে নিচ্ছিলেন ডি কক ও রসৌ।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে যেখানে নিজের ব্যাটিং শেষ করতে বাধ্য হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক, আজও যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন তিনি। আজ ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা সহ ৬৩ রান করে ফেরেন তিনি। তবে তাকে আজ অনেকটাই ফিকে করে দিয়েছেন রসৌ। ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব নৃত্য করেছেন তিনি বাংলাদেশে বোলারদের ওপর। ৫৬ বলে ১০৯ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। মেরেছেন ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা। এটাই চলতি বিশ্বকাপ কোনও ক্রিকেটারের করা প্রথম শতরান।
মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর কোন বাংলাদেশি বোলারকে দেখে মনে হয়নি তারা এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং লাইনআপকে সমস্যায় ফেলতে পারে। ২০ ওভারে ২০৫ রান তোলার পর বাংলাদেশের ব্যাটিংকেও তছনছ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। ১১ ওভারের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর মাত্র ৭৪। কিছুটা আক্রমণ করতে দেখা গেছে সৌম্য সরকারকে। মান বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন লিটন দাস। বাংলাদেশের টপ অর্ডার কে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন অনরিখ নোকিয়া।