বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আবহেই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি। রেমাল নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছে। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) কোথায় কোথায় এর কতখানি প্রভাব পড়বে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। এসবের মাঝেই বাংলার অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়! রবিবার মাঝরাতে বাংলাদেশ খেপুপাড়া এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়বে এই রেমাল (Cyclone Remal)।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) মোকাবিলার তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় সবকটি উপকূল থানার তরফ থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। মৎসজীবীদের মাছ ধরতে যেতেও বারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবার রেমাল আসার আগে থেকেই বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছে হলদিয়া, নন্দকুমারের মতো এলাকায়। গতকাল বিকেল থেকেই বর্ষণ শুরু হয়েছে এই এলাকাগুলিতে। শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বেশ কিছু জায়গায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবয়ান রয়েছে। এদিকে আবার আগামীকাল রেমালের ল্যান্ডফলের পর শহর কলকাতাতেও দুর্যোগের হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯০ কিলোমিটার/ঘণ্টা বেগে ঝড়ও বইতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ‘কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন মমতা’! আক্রমণের মুখে পড়তেই বোমা ফাটালেন হিরণ
তবে রেমালের বেশি প্রভাব উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেই পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সুন্দরবন, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের মতো এলাকায় ভালো রকম দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই তাই সাগর, বকখালির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিকেও এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
রেমালের সঙ্গে আবার ভরা কোটাল দোসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুইয়ের ফলে আরও উত্তাল হয়ে উঠতে পারে সমুদ্র। সেই কারণে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের ওপর কড়াকড়ি করে দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার তথা আজ অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর রবিবার আগামীকাল মাঝরাতে রেমালের ল্যান্ডফল হবে।
রেমাল আছড়ে পড়ার কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবন উপকূলে ১০০-১২০ কিমি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। ত্রাণ মজুত করা রয়েছে। আমফান, ইয়াসের সময়ও এই এলাকাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। রেমালের সময় যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় এই আশাই করা হচ্ছে।