বাংলাহান্ট ডেস্ক: গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে সঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবীর উপর জনসংখ্যার (Population) এত চাপ পড়লে শীঘ্রই ঘাটতি দেখা দেবে একাধিক জিনিসের। যেমন থাকার জন্য জমি, খাওয়ার জন্য খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি। তাই গোটা বিশ্বজুড়েই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। একদিকে যখন বিশ্বে এই প্রচার চলছে, অন্যদিকে পৃথিবীর অন্য একটি প্রান্তে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এমনকী, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নাগরিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থও দেওয়া হচ্ছে। কারণ কিছু দেশের জনসংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এতটাই কমে যাচ্ছে যে নাগরিকদের এখন রীতিমতো অর্থ দিয়ে উৎসাহ দিতে হচ্ছে জনসংখ্যা বাড়ানোর। দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) এবং জাপানের (Japan) সরকার এমনই এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। এই দেশগুলিতে শিশুদের জন্মের জন্য তার মা-বাবাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টানা ১২ বছর ধরে ক্রমশ কমে চলেছে জাপানের জনসংখ্যা। অর্থাৎ জাপানে বয়স্ক মানুষ বেড়ে গেলেও তরুণ প্রজন্মের জন্মের হার তেমন বাড়েনি। এর ফলে একটি অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে জনসংখ্যায়। জাপান এখন বৃদ্ধদের দেশে পরিণত হয়েছে। একই ছবি দক্ষিণ কোরিয়াতেও। সেখানে জন্মহার বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২২ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার মায়েদের শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য ১.২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে।
এই অর্থ ফ্রান্সের থেকে অনেক বেশি। শিশুদের দেখভালের জন্য প্রতি মাসে নাগরিকদের অর্থ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এক বছরের শিশুদের জন্য প্রতি মাসে সাপ্তাহিক হারে ৪৩ হাজার ৩৩৭ টাকা দেওয়া হয়। এরপর ২ বছর বয়স অবধি প্রতি মাসে ২১ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে এই অর্থ আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার। এছাড়াও অভিভাবকরা চাইলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অধীনে খেলনা ভাড়া করতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার প্রসূতিদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছে। জাপানের জনসংখ্যাও ব্যাপক হারে কমে যাচ্ছে। ২০২২ সালে এই দেশের জনসংখ্যা কমে হয়েছে ১ লক্ষ ২৪ হাজার। বুধবার প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে, সেখানে রেকর্ড হারে কমেছে জনসংখ্যা। ১৯৫০ সালের পর থেকে এটিই সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যায় হ্রাস। এর ফলে জাপান সরকার দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে।