‘ওঁরা দেশের স্তম্ভ”, সেনায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম হওয়া সৌভিকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগে থেকে নিশ্চিত ছিলেন, দুর্দান্ত একটা ফল হবে উচ্চমাধ্যমিকে। ঠিক, হলও তাই! মা-বাবা ডিউটিতে চলে যেতেই একা সৌভিক ঠাঁই বসেছিল টিভির সামনে। আসলে, নিজের অজান্তেই তিনি হয়তো বিশ্বাস করেছিলেন তাঁর নিজের রেজাল্ট জানতে পারবেন টিভির পর্দা থেকেই ৷ মেধাতালিকায় অষ্টম স্থান দখল করেছে সৌভিক। এবারের পরীক্ষায় ৫০০-র মধ্যে ৪৯১ পেয়েছে সে। শুক্রবার সকালে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হতেই চেতলা বয়েজ হাই স্কুলের ছাত্র সৌভিকের কথা ছড়িয়ে পড়ে শহর, জেলা পেরিয়ে সারা রাজ্যে।

রোগা ছিপছিপে সৌভিকের চেহারা, শরীরী ভাষায় স্পষ্ট তাঁর আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যয় ৷ চিকন কণ্ঠেও ঝরে পড়ছে সেই দৃঢ়তা ৷ নিজের মুখেই বলছেন, ‘‘রেজাল্ট জানার জন্য কোথাও যাইনি৷ চোখ রেখেছিলাম টিভিতেই ৷’ তার আরোও সংযোজন, ‘খুবই খুশি হয়েছি। ভাল পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছে ছিল যদি মেধাতালিকায় আসি। প্রথম কুড়ির মধ্যে হলেও হতো। ভাবিনি অষ্টম হয়ে যাব। আমি খুব খুশি।’

উচ্চমাধ্যমিকে দূর্দান্ত সাফল্য পেলেও সারাদিন কিন্তু বইয়ের পাতায় মুখ গুজে বসে থাকেনি সৌভিক। পড়াশোনার পাশাপাশি একইভাবে জোর দিয়েছেন খেলাতেও। নিয়মিত চলে সবুজ মাঠে দৌড়নো ৷ মেধাবী ছাত্রের পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ অ্যাথলিটও৷ প্রতিদিন সকালে খেলার জন্য সময় রাখতেন তিনি। নিজের মুখেই বলছেন, পড়াশোনার জন্য সেরকম চাপও নেননি। শুধু রুটিন মেনে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন।

তবে, এই মেধাবী ছাত্রের স্বপ্ন খানিক ভিন্ন। বাণিজ্য শাখার ছাত্র সৌভিক পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা করতে চান এই ধারাতেই ৷ সিএ পড়তে চান তিনি। তার ইচ্ছা, তিনি পা রাখবেন প্রতিরক্ষামূলক কোনও পেশায়। সৌভিকের কথায় , ‘নবম শ্রেণি থেকে ডিফেন্সে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। তাঁরাও দেশের স্তম্ভ।’ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার স্রোতে ভাসলেও এই মেধাবী পড়ুয়ার পাখির চোখ প্রতিরক্ষা বিভাগ ৷


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর